Text Practice Mode
বিশ্বের ১১১টি দেশের মধ্যে জ্বালানির ব্যবহারে বিশেষত বিদ্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান যৌথভাবে ৬৯তম
created Feb 22nd 2017, 08:44 by WadudSarker
3
342 words
24 completed
5
Rating visible after 3 or more votes
00:00
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাংক অন্যান্য দেশের অবস্থানের পাশাপাশি বাংলাদেশ সম্পর্কে ওই প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।মূলত জ্বালানির প্রাপ্যতা, এর ব্যবহারে দক্ষতা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার-এই তিনটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে রেগুলেটরি ইন্ডিকেটরস ফর সাসটেইনেবল এনার্জি (আরআইএসই) প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে বিশ্বব্যাংক।প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টেকসই জ্বালানির ব্যবহার ও এর দক্ষতা নিয়ে প্রথমবারের মতো এমন প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।ওই বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ডিরেক্টর এবং এনার্জি ও এক্সট্রাকটিভস বিভাগের প্রধান রিকার্ডো পুলিতি বলেন, আরআইএসই প্রতিবেদনটি জ্বালানি খাতের নীতি ও প্রবিধানমালা তৈরিতে নীতিনির্ধারকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সবার জন্য আধুনিক, সহজলভ্য ও নির্ভরযোগ্য জ্বালানি ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে এই প্রতিবেদন তাদেরকে সহায়তা করবে।প্রতিবেদনে দেখা যায়, এই খাতে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ৯৪ পয়েন্ট পেয়ে তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক। প্রতিবেশী ভারত ৭০ পয়েন্ট পেয়ে ৩৭তম অবস্থানে আছে। সেখানে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪৯ পয়েন্ট। একই পয়েন্ট পেয়েছে ক্যামেরুনও। আর একেবারে শেষে রয়েছে সোমালিয়া, যার পয়েন্ট মাত্র ৫।আর দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলো মধ্যে শ্রীলঙ্কা ৬১ পয়েন্ট, পাকিস্তান ৫৮ পয়েন্ট ও মালদ্বীপ ৫০ পয়েন্ট, মিয়ানমার ৩৮ পয়েন্ট, নেপাল ৩৬ পয়েন্ট ও আফগানিস্তান ২৩ পয়েন্ট পেয়েছে।প্রতিবেদনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিশ্বের দেশগুলোর অবস্থান তুলে ধরতে তিনটি রং ব্যবহার করেছে বিশ্বব্যাংক। শূন্য থেকে ৩৩ পয়েন্ট পর্যন্ত লাল রং, ৩৪ থেকে ৬৬ পয়েন্ট পর্যন্ত হলুদ রং এবং ৬৭ থেকে ১০০ পয়েন্ট পর্যন্ত সবুজ রং দিয়ে দেশগুলোর অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে লাল তালিকায় থাকা দেশগুলোর উপকরণ খুবই সামান্য। হলুদ তালিকায় থাকা দেশগুলোর পর্যাপ্ত উপকরণ রয়েছে। আর সবুজ তালিকার দেশগুলোতে প্রয়োজনীয় উপকরণ ও নীতিমালা রয়েছে।প্রতিবেদন পর্যালোচনায় আরো দেখা যায়, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ৫৭ পয়েন্ট পেয়েছে আর জ্বালানির ব্যবহারে পেয়েছে ৬৮ পয়েন্ট। কিন্তু জ্বালানির দক্ষতা অর্জনে রয়েছে মাত্র ২৩ পয়েন্ট। এই তিন সূচক মিলে তৈরি করা টেকসই জ্বালানি সূচকে বাংলাদেশের গড় পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৪৯।প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে আরো যেসব তথ্য উঠে এসেছে তা হলো-সৌর বিদ্যুতের মিনি গ্রিড ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সময় লাগে ছয় মাস।আর নগর এলাকায় গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুতের নতুন সংযোগ পেতে সময় লাগে গড়ে ২৫ দিন এবং ব্যয় হয় ২২ মার্কিন ডলার। আর পল্লী এলাকায় সময় লাগে ১৮৫ দিন এবং ব্যয় হয় ১৮৭ ডলার।
saving score / loading statistics ...