eng
competition

Text Practice Mode

বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনা

created Yesterday, 07:03 by RakibIslam6


1


Rating

301 words
11 completed
00:00
সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা চালু করেছে সরকার। তবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার গতি কিছুটা ধীর। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পর্যাপ্ত জনবল সৃষ্টি হয়নি। ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি সেভাবে প্রচারও করা হয়নি। ফলে আবেদনও কম পড়ছে। সরকার ২০১৮ সালে সড়ক পরিবহন আইনে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তার বিধান যুক্ত করে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি হয় গত বছরের জানুয়ারি। পর্যন্ত এক বছরের বেশি সময়ে ১৯৪ জনকে মোট কোটি ৫৬ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। মূলত গত ১৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথামবার একসঙ্গে ১৬২ জনকে প্রায় সাত কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর গত প্রায় তিন মাসে আরও ৩২ জনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিপূরণ যে দেওয়া হচ্ছে, তা জানাতে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। আর আবেদন নিষ্পত্তি দ্রুত করতে আরও লোকবল বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নূর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিএর চেয়ারম্যান ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য গঠিত ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে, গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় হাজার ২৪ জনের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন হাজার ৪৯৬ জন। আইন অনুযায়ী প্রত্যেক নিহত ব্যক্তির পরিবার আহত ব্যক্তিরা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য। বিআরটিএর তথ্য ধরলেও হতাহতের চেয়ে ক্ষতিপূরণের আবেদনের সংখ্যা অনেক কম। অবশ্য বেসরকারি হিসাবে হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি। বিআরটিএর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, এখন প্রতি মাসে গড়ে ৭০টি আবেদন পড়ছে। যে গতিতে দেওয়া হচ্ছে, তাতে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০টির বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয়। অর্থাৎ আবেদনের সংখ্যা কম হওয়ার পরও তা জমে যাচ্ছে। আবেদন বাড়লে আরও জটিলতা তৈরি হবে। সড়ক পরিবহন ক্ষতিপূরণ বিধিমালা অনুসারে, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা গেলে ভুক্তভোগী ব্যক্তির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। আর গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হলে ভুক্তোভোগী ব্যক্তি পাবেন তিন লাখ টাকা। আহত কারও চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা না থাকলে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে তিন লাখ টাকা। (রাকিবুল ইসলাম-১৫৭৩)

saving score / loading statistics ...