Text Practice Mode
মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি
created Jun 10th, 12:55 by MUHAMMUD TASNEEM AHMED
1
300 words
            4 completed
        
	
	0
	
	Rating visible after 3 or more votes	
	
		
		
			
				
					
				
					
					
						
                        					
				
			
			
				
			
			
	
		
		
		
		
		
	
	
		
		
		
		
		
	
            
            
            
            
			 saving score / loading statistics ...
 saving score / loading statistics ...
			
				
	
    00:00
				কোন মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি যতই পরিপূর্ণ ও উন্নতমানের হোক না কেন তা ভুলত্রুটি থেকে মুক্ত নয়। এরই ভিত্তিতে বলা চলে, তার যে কোন শক্তিই-তা প্রকাশ্য অথবা প্রচ্ছন্ন, বস্তুগত অথবা নৈতিক ও আত্মিক-সার্বিক দিক দিয়ে কখনোই পরিপূর্ণ নয়। প্রতিটি বিষয়ে ও কর্মে বিশুদ্ধতার সাথে অশুদ্ধতা, পরিপূর্ণতার সাথে অপূর্ণতা, স্মৃতির সাথে বিস্মৃতির আশংকা ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে। ত্রুটি সৃষ্টির নিঃসীম আঁধারের সাথে ভুল-ত্রুটিহীন আলোকোজ্জ্বল শিখার মহাবস্থান কি করে সম্ভব হতে পারে? বর্ণ-বৈচিত্র ও আকার আকৃতিতে মানুষের পরস্পর থেকে পরস্পরের পার্থক্য যেমন সুস্পষ্টভাবে প্রতিভাত হয় ঠিক তেমনি চিন্তা ও মন মানসিকতার গঠন বৈচিত্রও একে অপরের মাঝে দুস্তর ব্যবধান বিদ্যমান। বুদ্ধিবৃত্তির সর্বোচ্চে স্থাপিত এই সব দর্শনের পারস্পরিক বিরোধ ও বৈপরিত্যের সঠিক অবস্থা যত মুখ তত কথা, যত মত তত ব্যাথার ন্যায়। ফলে দার্শনিককে শেষ পর্যন্ত নিজেদের অক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতাকে স্বীকৃতি দিতে হয়েছে। 
প্রখ্যাত দার্শনিক জয়েন্ট বলেন: "পরম সত্য লাভের ব্যাপারে আমাদের নিরাশ হতেই হবে। এটা স্বীকার করা ছাড়া আমাদের গত্যন্তর নেই যে, পরম সত্য লাভ সরাসরি সেই সত্তার নিকট থেকেই একমাত্র যিনি সম্ভব জীবন এর চিরন্তন উৎস। (অর্থাৎ আল্লাহপাক) আর এটাই এর শেষ সমাধান।" অপর একজন খ্যাতনামা দার্শনিক মিঃ লেভিস বলেন: "মানুষের নিকট নিশ্চিত ও নির্ভরযোগ্য কোন জ্ঞান নেই। হ্যাঁ! একমাত্র আল্লাহর নিকট তা আছে। আর এর দাবীদার অজ্ঞ মানুষ যে জ্ঞান আল্লাহর নিকট থেকে যেমনিভাবে লাভ করে তেমনি লাভ করে থাকে ছোটরা বড়দের নিকট থেকে।"
মোদ্দা কথা এই যে, মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি রাজনৈতিক আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করতে সম্পূর্ণরূপে অক্ষম। কেননা এক ব্যক্তি যেটাকে সংস্কার মনে করে অন্যে সেটাকেই ন্যায় ও জুলুম মনে করে। ইউরোপ যেটাকে বুদ্ধিবৃত্তিক অনুশীলন ও বৈজ্ঞানিক সাধনা গবেষণা মনে করে এশিয়াবাসীদের জীবনে শান্তি ও নিরাপত্তার পক্ষে সেটাই হয়তো মারাত্মক ভীতি ও হুমকির কারণ। এক কথায় রাষ্ট্রনীতি বিষয়ক আইন-কানুন তথা নিয়ম ও নীতিমালা প্রণয়নের অধিকার একমাত্র আল্লাহরই। সর্বাগ্রে এই কানুন ও নীতিমালাকেই হযরত মুসা কালীমুল্লাহ (আঃ)-এর যমানায় শরীয়তের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। আর তিনিই সর্ব প্রথম নবী যিনি ছিলেন একজন পরিপূর্ণ রাষ্ট্রনীতিবিদ।
			
			
	        প্রখ্যাত দার্শনিক জয়েন্ট বলেন: "পরম সত্য লাভের ব্যাপারে আমাদের নিরাশ হতেই হবে। এটা স্বীকার করা ছাড়া আমাদের গত্যন্তর নেই যে, পরম সত্য লাভ সরাসরি সেই সত্তার নিকট থেকেই একমাত্র যিনি সম্ভব জীবন এর চিরন্তন উৎস। (অর্থাৎ আল্লাহপাক) আর এটাই এর শেষ সমাধান।" অপর একজন খ্যাতনামা দার্শনিক মিঃ লেভিস বলেন: "মানুষের নিকট নিশ্চিত ও নির্ভরযোগ্য কোন জ্ঞান নেই। হ্যাঁ! একমাত্র আল্লাহর নিকট তা আছে। আর এর দাবীদার অজ্ঞ মানুষ যে জ্ঞান আল্লাহর নিকট থেকে যেমনিভাবে লাভ করে তেমনি লাভ করে থাকে ছোটরা বড়দের নিকট থেকে।"
মোদ্দা কথা এই যে, মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি রাজনৈতিক আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করতে সম্পূর্ণরূপে অক্ষম। কেননা এক ব্যক্তি যেটাকে সংস্কার মনে করে অন্যে সেটাকেই ন্যায় ও জুলুম মনে করে। ইউরোপ যেটাকে বুদ্ধিবৃত্তিক অনুশীলন ও বৈজ্ঞানিক সাধনা গবেষণা মনে করে এশিয়াবাসীদের জীবনে শান্তি ও নিরাপত্তার পক্ষে সেটাই হয়তো মারাত্মক ভীতি ও হুমকির কারণ। এক কথায় রাষ্ট্রনীতি বিষয়ক আইন-কানুন তথা নিয়ম ও নীতিমালা প্রণয়নের অধিকার একমাত্র আল্লাহরই। সর্বাগ্রে এই কানুন ও নীতিমালাকেই হযরত মুসা কালীমুল্লাহ (আঃ)-এর যমানায় শরীয়তের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। আর তিনিই সর্ব প্রথম নবী যিনি ছিলেন একজন পরিপূর্ণ রাষ্ট্রনীতিবিদ।
 saving score / loading statistics ...
 saving score / loading statistics ...