eng
competition

Text Practice Mode

‘টিটির মুবেল ভাই’ যা পারেননি, সেটাই করে দেখাচ্ছেন তাঁর দুই মেয়ে

created Monday May 12, 06:21 by vaijan


0


Rating

230 words
22 completed
00:00
রংপুরের নিউ ইঞ্জিনিয়ার পাড়ায় আব্দুর রাজ্জাককে একনামে সবাই চেনেন। স্থানীয়দের কাছে তিনি ‘টিটির মুবেল ভাই’ হিসেবে পরিচিত। নিজে টেবিল টেনিস খেলে জাতীয় পর্যায়ে সাফল্য পেয়ে হয়েছেন কোচ, দুই মেয়ে রায়তা চৌধুরী রাফিয়া চৌধুরীকেও বানিয়েছেন টেবিল টেনিস খেলোয়াড়। রায়তা–রাফিয়ার মা নাদিরা ইসলামই–বা বাদ যাবেন কেন! তিনিও জাতীয় পর্যায়ে অংশ নিয়ে জিতেছেন পদক।
 
১৯৮৭ সালে জাতীয় জুনিয়র টেবিল টেনিসের দ্বৈতে রানারআপ হয়েছিলেন রাজ্জাক। ২০০৮ সালে ২৯তম জাতীয় টেবিল টেনিসে দলগতভাবে হন রানারআপ। স্বপ্ন দেখেন দুই মেয়েকে দেশসেরা টেবিল টেনিস খেলোয়াড় বানানোর, ‘আমার খুব ইচ্ছে ছিল দেশের হয়ে বড় কিছু করা। কিন্তু পারিনি। আমি যেটা পারিনি, সেটা যেন আমার মেয়েরা করে দেখাতে পারে, তাই দুজনকে টেবিল টেনিস শিখিয়েছি।’
 
যখন থেকে রায়তা-রাফিয়া বুঝতে শিখেছেন তখন থেকেই দুই মেয়েকে টেবিল টেনিস শেখাতে শুরু করেন। কখনো বাবার সঙ্গে এককে, কখনো জুটি বেঁধে দ্বৈত ইভেন্টে খেলেছেন মেয়েরা। রোববার নেপালে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ান টেবিল টেনিসের অনূর্ধ্ব-১৫ বালিকা বিভাগের দ্বৈতে ব্রোঞ্জ জিতেছেন রাফিয়া।  ২০২৩ সালে বিভাগীয় পর্যায়ের দলগত দ্বৈত ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি একই বছর যুব গেমসে দলগত বিভাগে ব্রোঞ্জ জেতেন।
 রাফিয়ার বড় বোন রায়তারও অনেক পদক জমেছে। ২০২৩ সালে বিভাগীয় পর্যায়ে একক, দ্বৈত দলগত বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন। একই বছর যুব গেমসের দ্বৈত দলগততে জেতেন ব্রোঞ্জ।
 
টেবিল টেনিসের প্রতি দুই বোনের এমন ইচ্ছাশক্তি তাদের মা নাদিরাকেও এই খেলায় টেনে এনেছে। ঈদের ছুটিতে যখন পরিবারের সবাই এক হন তখন টেবিল টেনিসেই সময় কাটে তাঁদের।  ৩৩তম জাতীয় টেবিল টেনিসের দলগত বিভাগে তৃতীয় হন তাদের মা নাদিরা।
 
 

saving score / loading statistics ...