eng
competition

Text Practice Mode

শেরেবাংলা: বাঙালির রাজনীতির বাতিঘর

created Tuesday May 06, 06:40 by vaijan


0


Rating

236 words
38 completed
00:00
শেরেবাংলা কে ফজলুল হক দেশের গরিব-দুঃখী মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য সারা জীবন কাজ করে গেছেন। তাঁর জন্ম ঝালকাঠীর রাজাপুর থানার সাতুড়িয়া গ্রামে আদি পৈতৃক নিবাস পটুয়াখালীর বাউফলে।
 
শেরেবাংলা কে ফজলুল হক ১৯১৬ সালে মুসলিম লিগের সভাপতি নির্বাচিত হন। পরের বছর ১৯১৭ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হন। তিনিই ইতিহাসের একমাত্র ব্যক্তি, যিনি একই সময়ে মুসলিম লিগের প্রেসিডেন্ট  কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন। ১৯১৮-১৯ সালে জওহরলাল নেহেরু ছিলেন ফজলুল হকের ব্যক্তিগত সচিব।
 
১৯৩৭-এর নির্বাচনে শেরেবাংলা ঘোষণা দিয়েছেন যে নির্বাচনে জিতলে তিনি জমিদারি প্রথা চিরতরে উচ্ছেদ করবেন। তিনি যাতে নির্বাচিত হতে না পারেন, তার জন্য সারা বাংলাদেশ আর কলকাতার জমিদারেরা একত্র হয়ে লাখ লাখ টাকা খরচ করেছেন। কৃষকেরা তাঁদের নেতা শেরেবাংলাকে ভোট দিয়েছেন।
 
বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার বিল, মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাংলার গভর্নরের কাছ থেকে বৃত্তি আর্থিক সাহায্য, মুসলিম এডুকেশন ফান্ড গঠন, নারীশিক্ষা প্রসারের জন্য কলকাতায় লেডি ব্রেবোন কলেজ ঢাকায় ইডেন কলেজ প্রতিষ্ঠা, কলকাতার বেকার হোস্টেল (যেখানে থেকে বঙ্গবন্ধু লেখাপড়া করেছেন) কারমাইকেল হোস্টেল এবং ফজলুল হক মুসলিম হল প্রতিষ্ঠাসহ শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এই নেতা। ১৯৪০ সালের ২২-২৪ মার্চ লাহোরে মুসলিম লীগের সম্মেলন হয়; যেখানে এক ফজলুল হক ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন; যার ভিত্তিতে পরবর্তীকালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয়।
 
অসীম সাহসী এই মানুষ আমাদেরকে সব অন্যায়–অবিচারের বিরুদ্ধে নির্ভয়ে প্রতিবাদ করার কথা বলেছেন। বাঙালি জাতিকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন অনেক আগেই। তিনি বলতেন, ‘যে জাতি তার বাচ্চাদের বিড়ালের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ায়, তারা সিংহের সাথে লড়াই করা কীভাবে শিখবে?’

saving score / loading statistics ...