Text Practice Mode
একটি কাগজের নোট যেভাবে অস্ত্র হয়ে উঠল
created Apr 10th, 06:47 by vaijan
0
212 words
11 completed
0
Rating visible after 3 or more votes
saving score / loading statistics ...
00:00
অর্থনীতি এবং রাজনীতির মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ক কখনো দৃশ্যমান, কখনো অদৃশ্য; কখনো শান্তিপূর্ণ, আবার কখনো রক্তক্ষয়ী সংঘাতের জন্ম দিয়েছে। তবে ইতিহাসের সবচেয়ে চতুর কৌশল বোধ হয় একটা কাগজের মুদ্রাকে বিশ্বব্যাপী ক্ষমতার প্রতীক বানানো।
ডলারের বিশ্বজয়ের শুরু হয় ১৯৪৪ সালে। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রায় শেষের দিকে। যুদ্ধে ইউরোপসহ বিভিন্নদেশ আর্থিক সংকটে জর্জরিত হয়ে পড়েছিল। এমন অবস্থায় বিশ্ব অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য আমেরিকার নিউ হ্যাম্পশায়ারে ব্রেটন উডস সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ভবিষ্যতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক লেনদেনের ভিত্তি হবে মার্কিন ডলার। আর তা সোনার সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
এই ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি সীমাবদ্ধতা ছিল। যেহেতু ডলার স্বর্ণের সঙ্গে যুক্ত, তাই যুক্তরাষ্ট্র চাইলে ইচ্ছেমতো ডলার ছাপাতে পারত না। কারণ, প্রতিটি ডলারের বিপরীতে সমপরিমাণ স্বর্ণ মজুত রাখতে হতো।
কিন্তু ১৯৬০-এর দশকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্র তখন ভিয়েতনাম যুদ্ধে বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করছে। পাশাপাশি দেশটির ভেতরেই সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্প ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে ব্যাপক অর্থ ব্যয় করা হচ্ছিল। এসব কারণে বাজারে প্রচুর ডলার ছড়িয়ে পড়েছিল। এরই মধ্যে ফ্রান্সসহ কয়েকটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দাবি করে যে তারা তাদের হাতে থাকা ডলারের বিনিময়ে স্বর্ণ নিতে চায়।
এই পরিস্থিতিতে ১৯৭১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি ঘোষণা করলেন, ‘এখন থেকে ডলার আর স্বর্ণের সঙ্গে যুক্ত থাকবে না।’এভাবে ডলার শুধু একটি মুদ্রা নয়, বরং এটি অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যবাদের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠল।
ডলারের বিশ্বজয়ের শুরু হয় ১৯৪৪ সালে। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রায় শেষের দিকে। যুদ্ধে ইউরোপসহ বিভিন্নদেশ আর্থিক সংকটে জর্জরিত হয়ে পড়েছিল। এমন অবস্থায় বিশ্ব অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য আমেরিকার নিউ হ্যাম্পশায়ারে ব্রেটন উডস সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ভবিষ্যতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক লেনদেনের ভিত্তি হবে মার্কিন ডলার। আর তা সোনার সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
এই ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি সীমাবদ্ধতা ছিল। যেহেতু ডলার স্বর্ণের সঙ্গে যুক্ত, তাই যুক্তরাষ্ট্র চাইলে ইচ্ছেমতো ডলার ছাপাতে পারত না। কারণ, প্রতিটি ডলারের বিপরীতে সমপরিমাণ স্বর্ণ মজুত রাখতে হতো।
কিন্তু ১৯৬০-এর দশকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্র তখন ভিয়েতনাম যুদ্ধে বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করছে। পাশাপাশি দেশটির ভেতরেই সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্প ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে ব্যাপক অর্থ ব্যয় করা হচ্ছিল। এসব কারণে বাজারে প্রচুর ডলার ছড়িয়ে পড়েছিল। এরই মধ্যে ফ্রান্সসহ কয়েকটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দাবি করে যে তারা তাদের হাতে থাকা ডলারের বিনিময়ে স্বর্ণ নিতে চায়।
এই পরিস্থিতিতে ১৯৭১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি ঘোষণা করলেন, ‘এখন থেকে ডলার আর স্বর্ণের সঙ্গে যুক্ত থাকবে না।’এভাবে ডলার শুধু একটি মুদ্রা নয়, বরং এটি অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যবাদের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠল।
