eng
competition

Text Practice Mode

ম্যারাডোনা: কখনো দেবতা, কখনো বিপ্লবী, আবার কখনো জোচ্চোর ও মাদকসেবী

created Apr 7th, 06:56 by vaijan


0


Rating

222 words
11 completed
00:00
অনেক বছর আগে বুয়েন্স এইরেসের ধূলিমাখা পথ থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন একজন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। খুব সরল কোনো পথ নয়, বরং আঁকাবাঁকা চড়াই-উতরাইয়ে ভরা। সেই পথ ধরে ম্যারাডোনা নামের সেই ছেলে কোথায় পৌঁছাতে চেয়েছিলেন, শুরুতে তা হয়তো তিনি নিজেও জানতেন না। তবে তিনি যা জানতেন, সেটা হলো এই চলার পথে যা কিছু আসবে, সবকিছুকেই দৃঢ়তার সঙ্গে বরণ করে নিতে হবে। আর এভাবে নিতে নিতে তিনি হয়ে উঠবেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার।
 
ম্যারাডোনার জীবনের দিকে ফিরে তাকালে সেখানে শ্রেষ্ঠত্বের পাশাপাশি কদর্যতা আর বিতর্কও ছিল ভরপুর। ম্যারাডোনা তো কোনো ধর্মীয় নেতা ছিলেন না, ছিলেন না কোনো নৈতিকতার আধারও। বরং প্রচলিত সব নৈতিক ধ্যানধারণাকে তিনি তুচ্ছ করতে পেরেছিলেন, নিজের হৃদয়ের ডাক শুনেছিলেন। আর সেই ডাকই হয়তো ম্যারাডোনাকে এমন একটা জায়গায় বসিয়ে দিয়েছে।
 
ম্যারাডোনা হয়তো শেষ পর্যন্ত কোনো দেবতা নন, কিন্তু তিনি যে নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর ছিলেন, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যেসব বিষয় সেলিব্রিটিরা সচেতনে এড়িয়ে যান, সেসব বিষয় নিয়ে ম্যারাডোনা কথা বলে যান অবলীলায়। নিজের এই অবস্থানগত কারণেই ম্যারাডোনা বাকিদের চেয়ে একেবারেই আলাদা হয়ে উঠেছেন। আর অসাধারণ চারিত্রিক গুণের কারণেই ফিদেল কাস্ত্রো কিংবা হুগো সাভেজের মতো বিপ্লবীদের বন্ধুও হয়েছেন তিনি।
 
ম্যারাডোনার বাঁ পায়ে ছিল ফিদেল কাস্ত্রোর ট্যাটু এবং ডান হাতে চে গুয়েভারার ট্যাটু। নিজের বিপ্লবী সত্তাকে হয়তো শরীরে বয়ে নিতে চেয়েছেন তিনি। তবে একজন ফুটবলার বিপ্লবীর পাশাপাশি এই গল্প সেই মানুষটিরও যিনি একজন স্বামী, প্রেমিক এবং বাবাও। একই সঙ্গে কোটি মানুষের অনুপ্রেরণার নামও।

saving score / loading statistics ...