eng
competition

Text Practice Mode

সুন্দরবনের মধুর চাহিদা

created Jun 21st, 18:30 by imdesus


1


Rating

249 words
9 completed
00:00
সুন্দরবনের মধুর চাহিদা দিন দিন বাড়লেও উৎপাদন বাড়ছে  না সেই তুলনায়। কয়েক বছর ধরে উৎপাদনে ‍স্থিতাবস্থা চলছে। বর্তমানে সুন্দরবন থেকে যে পরিমাণ মধু আহরিত হচ্ছে, তা চহিদার তুলনায় কম। মধুর অনলাইন বাজার প্রসারিত হওয়ায় এর কদর এবং দাম দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদন কম চাহিদা বাড়ায় মধুর প্রকার ভেদে গতবারের চেয়ে বছর কেজিতে দাম বেড়েছে তিনশত থেকে চারশত টাকা। ফলে সুন্দর বনের মধু সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। বর্তমানে শরণখোলাসহ সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকার খুচরা বাজারে এক কেজি মধু বিক্রি হচ্ছে এক হাজার দুইশ থেকে একহাজার চারশ টাকায়।
 
গতবছর পূর্ব সুন্দরবন থেকে এক হাজার ৫০ কুইন্টাল মধু আহরিত হয়েছিল। কিন্তু বছর আহরণ হয়েছে মাত্র ৬৫৪ কুইন্টাল। বছর মধু কম হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে মৌসুমের মাঝামাঝি অর্থাৎ পহেলা জুন থেকে সুন্দরবনের মৎস প্রজাতির প্রজনন মৌসুম শুরু হয় কারণে ১৪ মে থেকে মধুসহ সুন্দরবনের সব ধরনের পাস পারমিট বন্ধ করা হয়।
 
খুড়িয়ালী গ্রামের মৌয়াল আল আমিন ফরাজী ইসমাইল জমাদ্দার বলেন আমরা একেক জন পনের থেকে বিশ বছর ধরে সুন্দরবনে মধু ভাঙছি। আগে বনের এক থেকে দেড় কিলোমিটার এলাকা খুঁজলেই পাঁচ থেকে ছয়টি মৌচাক পাওয়া যেত। একেকটি মৌচাক থেকে চার থেকে পাঁচ কেজি মধু পেয়েছি। কিন্তু এবার মাইলের পর মাইল হেঁটেও মৌমাছি   মৌচাক কোনোটিই চোখে পড়েনা। ধীরে ধীরে মধু মৌমাছি কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে অভিজ্ঞ এই মৌয়ালরা জানান সুন্দরবনে বিষ দিয়ে অহরহ মাছ ধরা হচ্ছে। বিষক্রিয়ায় বনের মাটি পানি বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। আর মৌমাছিরা নদীর চরের কাদামাটি দিয়ে প্রথমে তাদের বাসা তৈরির সূচনা করে। মাটি সংগ্রহ করার সময় বিষে অনেক মৌমাছি মরছে।

saving score / loading statistics ...