Text Practice Mode
রাইসির শূন্যতা
created May 26th, 09:12 by KMIM
1
151 words
30 completed
0
Rating visible after 3 or more votes
00:00
রাইসির শূন্যতায় ইরানের কুটনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও সংকট দেখা দিতে পারে। ২০১৬ সালে সৌদি আরবে ৪৭ জন শিয়া ধর্মগুরু ও বন্দিদের মৃত্যুদন্ডাদেশর ঘটনায় দেশটির সঙ্গে ইরানের সম্পর্কচ্ছেদ ঘটে। ২০২৩ সালের মার্চে চীনের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। সৌদি আরবের সঙ্গে মধ্যস্থতার কৃতিত্ব অনেকাংশে রাইসির। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান প্ল্যান ভিশন-২০৩০ নামক পরিকল্পনা নিয়েছেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি ইরানের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন করেছেন এবং ভবিষ্যতে সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরও ভালো করার সুযোগ ইরানের রয়েছে। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের স্থায়ী সদস্য হওয়া এবং ব্রিকসের সদস্যপদে আবেদনের বিষয়টিও ইরানকে আগামীতে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে সহযোগিতা করবে। রাইসির মৃত্যুর পর অসমাপ্ত তিন সংকট ইরানের জন্য কিছু জটিলতা তৈরি করলেও রাইসি তার পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্টদের তুলনায় কিছুটা এগিয়েই থাকবেন। তিনিই ইরানের প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি সরকার, সংসদ, বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সামরিক বাহিনীকে একত্র করতে পেরেছিলেন। রাইসির মৃত্যুর পর নতুন প্রেসিডেন্ট এই গুরুত্বপূর্ণ লিগ্যাসিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারলে পশ্চিমা সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের সুযোগ বাড়বে।
saving score / loading statistics ...