Text Practice Mode
জামিউল হোসেন তামিম
created Dec 10th 2023, 06:11 by Md Jamiul Tamim
0
257 words
10 completed
0
Rating visible after 3 or more votes
00:00
মিস্টার সার্কুলার ঢুকছেন। এই, কেউ ওঁকে আমার কাছে পাঠাবে না ।‘ প্রিয়া কাগজপত্র ছড়িয়ে বসল ।
‘আমার কাছেও না, আমি রেকর্ড–রুম থেকে ঘুরে আসছি ।‘ সঞ্জয় উঠে পড়ল ।
‘আমার কাছে আসবেন না, গতবার আমার নামেই তো কমপ্লেন করেছিলেন। বেঁচে গেছি।‘ চৌধুরীদা গলা নামিয়ে বললেন ।
মৃন্ময় কানে ফোন নিয়ে কাল্পনিক কারও সঙ্গে কথায় ব্যস্ত রইল। বাকিরাও ব্যস্ততার আড়ালে লুকোনো শ্রেয় মনে করছে। এই ভরা কাজের সময় এমন একজন কাস্টমারকে ডিল করা সত্যিই সমস্যা। অফিসসুদ্ধ সবাইকে তটস্থ করে তুলতে ভালোবাসেন ইনি। আর প্রতিবারই একটা কমপ্লেন লিখে দিয়েও যাবেন। এখানে লিখিত দেবেন, তার কপি ইমেইল করে নানা জায়গায় দেবেন। কোনও কাস্টমার–সার্ভিসই ওঁর যথেষ্ট মনে হয় না, খুশি বা সন্তুষ্ট হওয়ার তো প্রশ্নই নেই।
সবাই কাজ বা অকাজের অজুহাত দিলেও অনিন্দিতার এড়িয়ে থাকার উপায় নেই। হাসিমুখেই সামনের বসার জায়গার দিকে ইশারা করল, ’বলুন।‘
‘আপনাদের অফিসে সবসময় এত ভিড় থাকে কেন? সবাই ব্যস্ত… একটা কাজের কথা শোনার সময় নেই কারও।‘
‘ওই যে আপনি বললেন… ভিড়। সবাই তো কিছু না কিছু কাজ নিয়ে এসেছেন। আপনি বলুন, কী কাজ?’
‘তো? ভিড় হচ্ছে যখন, স্টাফ বাড়ান। আরও দুটো অন্তত কাউন্টার বাড়ান।‘ ভদ্রলোকের গলায় ঝাঁঝ, ‘আমাদের সময়ের তো দাম আছে। কাজের কথা বলার জন্য দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করব নাকি?’
আপনি এসেছেন দু’মিনিটও হয়নি, কথাটা অবশ্য বলল না অনিন্দিতা, ’বলুন।‘
‘বলছি। বলার জন্যেই তো এসেছি। তার আগে আমার কথাটার জবাব দিন। কাউন্টার বাড়াচ্ছেন না কেন?’
পেছনে লম্বা লাইন কাস্টমারদের, একটা দুটো গলা ভেসে এল, ’সেই তো। দুটো কাউন্টার, আর এত ভিড়। হয় নাকি?’
ভদ্রলোক এই অপেক্ষাতেই ছিলেন। গলার আওয়াজ বেড়ে গেল, ‘বলুন তো, আপনারা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেনই বা কেন? এইভাবে হ্যারাস করার কোনও অধিকার আছে এঁদের?’
‘আমার কাছেও না, আমি রেকর্ড–রুম থেকে ঘুরে আসছি ।‘ সঞ্জয় উঠে পড়ল ।
‘আমার কাছে আসবেন না, গতবার আমার নামেই তো কমপ্লেন করেছিলেন। বেঁচে গেছি।‘ চৌধুরীদা গলা নামিয়ে বললেন ।
মৃন্ময় কানে ফোন নিয়ে কাল্পনিক কারও সঙ্গে কথায় ব্যস্ত রইল। বাকিরাও ব্যস্ততার আড়ালে লুকোনো শ্রেয় মনে করছে। এই ভরা কাজের সময় এমন একজন কাস্টমারকে ডিল করা সত্যিই সমস্যা। অফিসসুদ্ধ সবাইকে তটস্থ করে তুলতে ভালোবাসেন ইনি। আর প্রতিবারই একটা কমপ্লেন লিখে দিয়েও যাবেন। এখানে লিখিত দেবেন, তার কপি ইমেইল করে নানা জায়গায় দেবেন। কোনও কাস্টমার–সার্ভিসই ওঁর যথেষ্ট মনে হয় না, খুশি বা সন্তুষ্ট হওয়ার তো প্রশ্নই নেই।
সবাই কাজ বা অকাজের অজুহাত দিলেও অনিন্দিতার এড়িয়ে থাকার উপায় নেই। হাসিমুখেই সামনের বসার জায়গার দিকে ইশারা করল, ’বলুন।‘
‘আপনাদের অফিসে সবসময় এত ভিড় থাকে কেন? সবাই ব্যস্ত… একটা কাজের কথা শোনার সময় নেই কারও।‘
‘ওই যে আপনি বললেন… ভিড়। সবাই তো কিছু না কিছু কাজ নিয়ে এসেছেন। আপনি বলুন, কী কাজ?’
‘তো? ভিড় হচ্ছে যখন, স্টাফ বাড়ান। আরও দুটো অন্তত কাউন্টার বাড়ান।‘ ভদ্রলোকের গলায় ঝাঁঝ, ‘আমাদের সময়ের তো দাম আছে। কাজের কথা বলার জন্য দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করব নাকি?’
আপনি এসেছেন দু’মিনিটও হয়নি, কথাটা অবশ্য বলল না অনিন্দিতা, ’বলুন।‘
‘বলছি। বলার জন্যেই তো এসেছি। তার আগে আমার কথাটার জবাব দিন। কাউন্টার বাড়াচ্ছেন না কেন?’
পেছনে লম্বা লাইন কাস্টমারদের, একটা দুটো গলা ভেসে এল, ’সেই তো। দুটো কাউন্টার, আর এত ভিড়। হয় নাকি?’
ভদ্রলোক এই অপেক্ষাতেই ছিলেন। গলার আওয়াজ বেড়ে গেল, ‘বলুন তো, আপনারা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেনই বা কেন? এইভাবে হ্যারাস করার কোনও অধিকার আছে এঁদের?’
saving score / loading statistics ...