Text Practice Mode
কুসমি পরীর গল্প
created Sep 14th 2023, 15:18 by Shahajan
4
347 words
20 completed
5
Rating visible after 3 or more votes
saving score / loading statistics ...
00:00
কুসুমি বলল, তুমি বড্ড বানিয়ে কথা বল। একটা সত্যিকার গল্প শোনাও-না। আমি বললুম, জগতে দুরকম পদার্থ আছে। এক হচ্ছে সত্য, আর এক হচ্ছে- আরও-সত্য। আমার কারবার আরো সত্যকে নিয়ে। দাদামশায়,
সবাই বলে, তুমি কী যে বল কিছু বোঝাই যায় না। আমি বললুম, কথাটা সত্যি, কিছু যারা বোঝে না সেটা তাদেরই দোষ। আরো সত্যি কাকে বলছ একটু বুঝিয়ে বলো না। আমি বললুম, এই যেমন তোমাকে সবাই কুসমি বলে জানে। এই কথাটা খুবই সত্য; তার হাজার প্রমান আছে। আমি কিছু সন্ধান পেয়েছি যে, তুমি পরীস্থানের পরী। এটা হল আরো সত্য। খুশি হল কুসমি। বলল, আচ্ছা সন্ধান পেলে কী করে।
আমি বললুম তোমার ছিল একজামিন, বিছানার উপরে বসে বসে ভূগোল বৃত্তান্ত মুখস্থ করছিলে, কখন তোমার মাথা ঠেকল বালিশে, পড়লে ঘুমিয়ে। সেদিন ছিল পুর্ণিমার রাত্রি। জানালার ভিতর দেয জোৎস্না এসে পড়ল তোমর মুখের উপরে, তোমার আসমানি রঙ্গের শাড়ির উপরে। আমি সেদিন স্পষ্ট দেখতে পেলুম, পরীস্থানের রাজা চর পাঠিয়েছে দাদের পলাতকা পরীর খবর নিতে। সে এসেছিল আমার জানালার কাছে, তারা সাদা চাদরটা উড়ে পড়েছিল ঘরের মধ্যে। চর দেখল , তোমকে আগাগোড়া, ভেবে পেল না তুমি তাদের সেই পালিয়ে আসা পরী কি না। তুমি এই পৃথিবীর পরী বলে তার সন্দেহ হল। তোমাকে মাটির কোলথেকে তুলে নিয়ে যাওয়া দাতের পক্ষে সহজ হবে না। এত ভার সইবে না। ক্রমে চাঁদ উপরে উঠে গেল, ঘরের মাথা ছায়া পড়ল, চর শিশু গাছের ছায়ায় মাথা নেড়ে চলে গেল। সেদিন আমি খবর পেলুম, তুমি পরীস্থানের পরী, পৃথিবীর মাটির ভারে বাঁধা পড়ে গেছ।
কুসুমি বললে, আচ্ছা দাদামশায়, আমি পরীস্থান থেকে এলুম কী করে। আমি বললুম, সেখানে একদিন তুমি পরীজাতের বনে প্রজাপতির পিঠে চড়ে উড়ে বেড়াচ্ছিলে, হঠাৎ তোমর চোখে পড়ল দিগন্তের ঘাটে এসে ঠেকেছে একটা খেয়া নৌকা। সেটা সাদা মেঘ দিয়ে গড়া, হাওয়া লেগে দুলছে। তোমার কী মনে হল, তুমি উঠেপড়লে সেই নৌকায়। নৌকা চলল, ভেসে, ঠেকল এসে পৃথিবীর ঘাটে, তোমার মা নিলেন কুড়িয়ে। কুসমি ভারি খুশি হয়ে বললে হাততালি দিয়ে, দাদামশায়, আচ্ছা, এ কি সত্যি। আমি বললুম, ঐ দেখো, কে বললে সত্যি। আমি কি সত্যিকে মানি। এ হল আরো-সত্যি। কুসমি বললে, আচ্ছা আমি কি পরীস্থানে ফিরে যেতে পারব না। আমি বললুম, পারতেও পার, যদি তোমারসপ্নের হাওয়াএসে লাগে। আচ্ছা, যদি হাওয়া লাগে তবে কোন রাস্তায় কোথায় যাব। সে কি অনেক দুরে।
সবাই বলে, তুমি কী যে বল কিছু বোঝাই যায় না। আমি বললুম, কথাটা সত্যি, কিছু যারা বোঝে না সেটা তাদেরই দোষ। আরো সত্যি কাকে বলছ একটু বুঝিয়ে বলো না। আমি বললুম, এই যেমন তোমাকে সবাই কুসমি বলে জানে। এই কথাটা খুবই সত্য; তার হাজার প্রমান আছে। আমি কিছু সন্ধান পেয়েছি যে, তুমি পরীস্থানের পরী। এটা হল আরো সত্য। খুশি হল কুসমি। বলল, আচ্ছা সন্ধান পেলে কী করে।
আমি বললুম তোমার ছিল একজামিন, বিছানার উপরে বসে বসে ভূগোল বৃত্তান্ত মুখস্থ করছিলে, কখন তোমার মাথা ঠেকল বালিশে, পড়লে ঘুমিয়ে। সেদিন ছিল পুর্ণিমার রাত্রি। জানালার ভিতর দেয জোৎস্না এসে পড়ল তোমর মুখের উপরে, তোমার আসমানি রঙ্গের শাড়ির উপরে। আমি সেদিন স্পষ্ট দেখতে পেলুম, পরীস্থানের রাজা চর পাঠিয়েছে দাদের পলাতকা পরীর খবর নিতে। সে এসেছিল আমার জানালার কাছে, তারা সাদা চাদরটা উড়ে পড়েছিল ঘরের মধ্যে। চর দেখল , তোমকে আগাগোড়া, ভেবে পেল না তুমি তাদের সেই পালিয়ে আসা পরী কি না। তুমি এই পৃথিবীর পরী বলে তার সন্দেহ হল। তোমাকে মাটির কোলথেকে তুলে নিয়ে যাওয়া দাতের পক্ষে সহজ হবে না। এত ভার সইবে না। ক্রমে চাঁদ উপরে উঠে গেল, ঘরের মাথা ছায়া পড়ল, চর শিশু গাছের ছায়ায় মাথা নেড়ে চলে গেল। সেদিন আমি খবর পেলুম, তুমি পরীস্থানের পরী, পৃথিবীর মাটির ভারে বাঁধা পড়ে গেছ।
কুসুমি বললে, আচ্ছা দাদামশায়, আমি পরীস্থান থেকে এলুম কী করে। আমি বললুম, সেখানে একদিন তুমি পরীজাতের বনে প্রজাপতির পিঠে চড়ে উড়ে বেড়াচ্ছিলে, হঠাৎ তোমর চোখে পড়ল দিগন্তের ঘাটে এসে ঠেকেছে একটা খেয়া নৌকা। সেটা সাদা মেঘ দিয়ে গড়া, হাওয়া লেগে দুলছে। তোমার কী মনে হল, তুমি উঠেপড়লে সেই নৌকায়। নৌকা চলল, ভেসে, ঠেকল এসে পৃথিবীর ঘাটে, তোমার মা নিলেন কুড়িয়ে। কুসমি ভারি খুশি হয়ে বললে হাততালি দিয়ে, দাদামশায়, আচ্ছা, এ কি সত্যি। আমি বললুম, ঐ দেখো, কে বললে সত্যি। আমি কি সত্যিকে মানি। এ হল আরো-সত্যি। কুসমি বললে, আচ্ছা আমি কি পরীস্থানে ফিরে যেতে পারব না। আমি বললুম, পারতেও পার, যদি তোমারসপ্নের হাওয়াএসে লাগে। আচ্ছা, যদি হাওয়া লাগে তবে কোন রাস্তায় কোথায় যাব। সে কি অনেক দুরে।
