Text Practice Mode
কে বোকা আর কে বুদ্ধিমান?
created Mar 9th 2023, 02:43 by Jubaer Rahman Babu
1
420 words
0 completed
0
Rating visible after 3 or more votes
আপনার কোনো আত্মীয় ভালো মানের একটা চাকরি পেয়েছে। সূদী ব্যাংকের চাকরি। সে সূদী ব্যাংকে চাকরি করবে না বলে চাকরি ছেড়ে দিল। একটা ছেলে অত্যন্ত মেধাবী। মুখে তার দাড়ি। ভালো পোস্টে চাকরি হয়েছে কিন্তু শর্ত হচ্ছে দাড়ি কাটতে হবে। ছেলেটা চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে বেকার বসে আছে। আপনি নিশ্চয় তাকে তিরস্কার করে বলবেন, পাগল কোথাকার! এমন সুযোগ জীবনে বারবার আসে না। এখনই অত হুযূর হওয়ার কী দরকার? আমাদের দাড়ি নাই, তাই বলে কি আমরা মুসলমান না? হয়তোবা আধুনিকমনা কেনো ছেলে সে একটা হাসির পাত্রে পরিণত হয়ে যাবে। কিন্তু জানেন কি? আপনাদের নিকটে এই ছেলেটা হয়তো বোকা। দুনিয়া বুঝে না। বাস্তবে ছেলেটা কিন্তু অনেক বুদ্ধিমান এবং চালাক। এই দুনিয়ার বাস্তবতা সেই সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পেরেছে। সে জানে এই দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী। আজকে যারা তাকে ‘হাসান’ নামে ডাকছে। তারাই তার মৃত্যুর পর ঘোষণা করবে হাসনা দুনিয়া বুঝে না। বাস্তবে ছেলেটা কিন্তু অনেক বুদ্ধিমান এবং চালাক। এই দুনিয়ার বাস্তবতা সেই সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পেরেছে। সে জানে এই দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী। আজকে যারা তাকে দুনিয়া থেকে চলে গেছে। অথচ আশ্চর্য হচ্ছে হাসানের সেই হাত, সেই পা, সেই সুন্দর চেহারা, মাথার কালো চুলসহ পুরো সুঠাম দেহটা এখনো দুনিয়াতেই আছ্ যেই শরীরকে এতদিন হাসান নামে ডাকা হত, তা এখনো হাসপাতারের বেডে আছ্ তারপরও বলা হচ্ছে, হাসান চরে গেছে। হাসান দুনিয়াতে নাই। তাহরে হাসানটা কে? কে সে যে এতদিন হাসানের এই অবয়বের মধ্যে ছিল তাই হাসান চলছিল, ফিরছিল, ঘুরছিল, কথা বলছিল। আজ সে চলে যাওয়াতে হাসানের নিথর দেহ পড়ে আছে আর মানুষ বলছে হাসান দুনিয়া থেকে চলে গেছে। হ্যাঁ, এই এক জায়গাতেই দুনিয়ার সব বিজ্ঞান অচল। যাবতীয় টেকনোলজি অথর্ব্য। চিকিৎসা বিজ্ঞান যত উন্নতই হোক না কেন, এই এক জায়গায় তার সব শক্তি মুখ থুবড়ে পড়ে। এটাই রূহ। আত্মা। ঐ রূহকেই মূলত হাসান বলা হত। রূহটা শরীর নামক এক খাঁচায় সাময়িক বন্দি ছিল। এই আত্মা যেখানে গেছে সেটাই পরকাল। সেটাই ওপার। সেখানেই বিচার হবে। হবেই হবে। শুধু তাই নয়; বিজ্ঞানও প্রমাণ করেছে এই পৃথিবী একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। সূর্যের জ্বালানি শক্তি একদিন শেষ হয়ে যাবে। সূর্য একদিন আলোকহীন হয়ে পড়বে। আপনাকে যদি এখনই ফোন করে বলা হয়, আপনার ছেলে এক্সিডেন্ট করে হাসপাতালে আছ্ েআপনি মোবাইল ফেলে দিয়ে দৌড়াবেন। নিজের সব অর্থ সম্পত্তি দিয়ে হরেও নিজের ছেলের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করবেন। এই তো সেইদিন পত্রিকায় পড়লাম, চীনে একটা বিল্ডিং ধ্বসে প্রায় ৩০ জন মানুষের মৃত্যু হয়। ধ্বংসাবশেষ থেকে একটা মেয়েকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। মেয়ের বাবা মেয়েকে বাঁচানোর জন্য নিজের কোলের মধ্যে নিয়ে নিজের শরীর দিয়ে ঢেকে রাখে। ইট-পাথর যা পড়ার তা সব পিতার পিঠে ও মাথার উপর পড়েছে। পিতা-মাতা দুজনই মাথায় ও পিঠে আঘাত নিয়ে সাথে সাথে মারা গেছেন। নিশ্চিত মৃত্যুর সামনে নিজেদের সঁপে দিয়ে নিজেদের মেয়েক বাঁচিয়ে গেলেন।
00:00
আপনার কোনো আত্মীয় ভালো মানের একটা চাকরি পেয়েছে। সূদী ব্যাংকের চাকরি। সে সূদী ব্যাংকে চাকরি করবে না বলে চাকরি ছেড়ে দিল। একটা ছেলে অত্যন্ত মেধাবী। মুখে তার দাড়ি। ভালো পোস্টে চাকরি হয়েছে কিন্তু শর্ত হচ্ছে দাড়ি কাটতে হবে। ছেলেটা চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে বেকার বসে আছে। আপনি নিশ্চয় তাকে তিরস্কার করে বলবেন, পাগল কোথাকার! এমন সুযোগ জীবনে বারবার আসে না। এখনই অত হুযূর হওয়ার কী দরকার? আমাদের দাড়ি নাই, তাই বলে কি আমরা মুসলমান না? হয়তোবা আধুনিকমনা কেনো ছেলে সে একটা হাসির পাত্রে পরিণত হয়ে যাবে। কিন্তু জানেন কি? আপনাদের নিকটে এই ছেলেটা হয়তো বোকা। দুনিয়া বুঝে না। বাস্তবে ছেলেটা কিন্তু অনেক বুদ্ধিমান এবং চালাক। এই দুনিয়ার বাস্তবতা সেই সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পেরেছে। সে জানে এই দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী। আজকে যারা তাকে ‘হাসান’ নামে ডাকছে। তারাই তার মৃত্যুর পর ঘোষণা করবে হাসনা দুনিয়া বুঝে না। বাস্তবে ছেলেটা কিন্তু অনেক বুদ্ধিমান এবং চালাক। এই দুনিয়ার বাস্তবতা সেই সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পেরেছে। সে জানে এই দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী। আজকে যারা তাকে দুনিয়া থেকে চলে গেছে। অথচ আশ্চর্য হচ্ছে হাসানের সেই হাত, সেই পা, সেই সুন্দর চেহারা, মাথার কালো চুলসহ পুরো সুঠাম দেহটা এখনো দুনিয়াতেই আছ্ যেই শরীরকে এতদিন হাসান নামে ডাকা হত, তা এখনো হাসপাতারের বেডে আছ্ তারপরও বলা হচ্ছে, হাসান চরে গেছে। হাসান দুনিয়াতে নাই। তাহরে হাসানটা কে? কে সে যে এতদিন হাসানের এই অবয়বের মধ্যে ছিল তাই হাসান চলছিল, ফিরছিল, ঘুরছিল, কথা বলছিল। আজ সে চলে যাওয়াতে হাসানের নিথর দেহ পড়ে আছে আর মানুষ বলছে হাসান দুনিয়া থেকে চলে গেছে। হ্যাঁ, এই এক জায়গাতেই দুনিয়ার সব বিজ্ঞান অচল। যাবতীয় টেকনোলজি অথর্ব্য। চিকিৎসা বিজ্ঞান যত উন্নতই হোক না কেন, এই এক জায়গায় তার সব শক্তি মুখ থুবড়ে পড়ে। এটাই রূহ। আত্মা। ঐ রূহকেই মূলত হাসান বলা হত। রূহটা শরীর নামক এক খাঁচায় সাময়িক বন্দি ছিল। এই আত্মা যেখানে গেছে সেটাই পরকাল। সেটাই ওপার। সেখানেই বিচার হবে। হবেই হবে। শুধু তাই নয়; বিজ্ঞানও প্রমাণ করেছে এই পৃথিবী একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। সূর্যের জ্বালানি শক্তি একদিন শেষ হয়ে যাবে। সূর্য একদিন আলোকহীন হয়ে পড়বে। আপনাকে যদি এখনই ফোন করে বলা হয়, আপনার ছেলে এক্সিডেন্ট করে হাসপাতালে আছ্ েআপনি মোবাইল ফেলে দিয়ে দৌড়াবেন। নিজের সব অর্থ সম্পত্তি দিয়ে হরেও নিজের ছেলের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করবেন। এই তো সেইদিন পত্রিকায় পড়লাম, চীনে একটা বিল্ডিং ধ্বসে প্রায় ৩০ জন মানুষের মৃত্যু হয়। ধ্বংসাবশেষ থেকে একটা মেয়েকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। মেয়ের বাবা মেয়েকে বাঁচানোর জন্য নিজের কোলের মধ্যে নিয়ে নিজের শরীর দিয়ে ঢেকে রাখে। ইট-পাথর যা পড়ার তা সব পিতার পিঠে ও মাথার উপর পড়েছে। পিতা-মাতা দুজনই মাথায় ও পিঠে আঘাত নিয়ে সাথে সাথে মারা গেছেন। নিশ্চিত মৃত্যুর সামনে নিজেদের সঁপে দিয়ে নিজেদের মেয়েক বাঁচিয়ে গেলেন।
saving score / loading statistics ...