Text Practice Mode
এক কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ২৫০ ট্যাকা
created Feb 26th 2023, 04:34 by Computer Operator 2 CVID-19 ERPP
0
503 words
1 completed
0
Rating visible after 3 or more votes
00:00
প্রায় ৯ বছর বাজারে ব্যবসা করছেন তিনি। চাল, ডাল, তেল, আটাসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যই পাওয়া যায় তাঁর দোকানে। তিনি ছাড়াও দোকানে কর্মচারী আছে একজন। প্রতিদিন সকাল ৯টায় দোকান খোলেন। বেচাবিক্রি চলে গভীর রাত পর্যন্ত।
সম্প্রতি দোকানটিতে গিয়ে তেমন কোনো ক্রেতা পাওয়া গেল না। ইউসুফ ও তাঁর কর্মচারী মো. আলী বসে আছেন অনেকটা অলস। অনেকক্ষণ পরপর দুই-একজন ক্রেতা আসছেন। তবে সেভাবে পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। দর-কষাকষি করছেন, নয়তো ফিরে যাচ্ছেন পণ্য না কিনেই। আবার কেউবা ঠেকায় পড়ে কিনছেন প্রয়োজনের অর্ধেক অথবা তারও কম। তাই ঢিলেঢালা সময় যাচ্ছিল তাঁদের।
কিছু সময়ের জন্য কথা হয় ইউসুফের সঙ্গে। তিনি বলছিলেন, বিগত ৯ বছরের ব্যবসাজীবনে কখনো এমন ‘হার্ড টাইম’ (কঠিন সময়) পার করেননি তিনি। প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। কোনো পণ্যে একঠেলায় বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এসব কারণে দোকানে ক্রেতা নেই। কিছু ক্রেতা এলেও দাম শুনে ‘ভয়’ পাচ্ছেন। কেউ কেউ দর-কষাকষি করে পণ্য না কিনেই চলে যাচ্ছেন। এসব কারণে বেচাবিক্রি নেমে এসেছে অর্ধেকে। হিমশিম খেতে হচ্ছে দোকানভাড়া, বাড়িভাড়াসহ সন্তানের লেখাপড়ার খরচ নিয়ে।
কথার মাঝেই ইউসুফ গত ১৫ দিনের ব্যবধানে কিছু পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির নমুনা দেখালেন। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, ১৫ দিন আগেও তাঁর দোকানে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হতো ৮৫ টাকায়। কিন্তু রোজাকে সামনে রেখে এখন তা বেড়ে হয়েছে ৯৫ টাকা। একইভাবে সয়াবিন তেল (খোলা) বিক্রি হতো ১৭০ টাকায়। এখন তা বেড়ে হয়েছে ১৯০ টাকা। চিনির দাম ১১০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১৫ টাকা। মুড়ি ৭০ টাকা থেকে ৮৫, আটা ৬০ টাকা থেকে ৬৫, বেসন ৯০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা এবং ছোলার ডাল ১০৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা।
কিছুটা ক্ষোভ ঝেড়ে ইউসুফ বলেন, ‘মানুষ কী খাইয়্যা বাঁচব কন! আগে সচরাচর রোজার দু–এক দিন বা এক সপ্তাহ আগে কিছু জিনিসের দাম গড়ে চার থেকে পাঁচ টাকা বাড়ত। কিন্তু এবার এক মাস আগেই সবকিছুর দাম বাইড়্যা গেছে। আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বেশি দামে জিনিস কিনন্যা বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। কিন্তু কাস্টমাররা তা বোঝে না। দাম হুনন্যাই মন খারাপ করে। আমাগোর হইসে যত জ্বালা।’
ইউসুফের বাসা নগরের নিলেরপাড়া এলাকায়। থাকেন ভাড়া বাসায়। স্বামী-স্ত্রী, সন্তান, এক গৃহকর্মীসহ পরিবারে মোট সদস্যসংখ্যা ৪। এর মধ্যে ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। দোকানের আয় দিয়েই চলে সন্তানের লেখাপড়া ও সংসার খরচ। কিন্তু বর্তমান জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায় ভাটা পড়েছে। তাঁর মতে, আগে প্রতিদিন গড়ে পণ্য বিক্রি হতো ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার। এখন তা কমে ঠেকেছে ১০ থেকে ১২ হাজারে। এতে দোকানভাড়া, বাড়িভাড়া, সন্তানের লেখাপড়াসহ আনুষঙ্গিক খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। টিকে থাকতে তিনি নিজেও কাটছাঁট করছেন খাদ্যতালিকায়। চলতে হচ্ছে নানান হিসাব মিলিয়ে।
ইউসুফ বলেন, ‘দিন শেষে আমি নিজেও একজন কাস্টমার (ক্রেতা), তাই সাধারণ কাস্টমারগো কষ্ট বুঝি। বাজারে গেলেই মাথা ঘুরায়। এহন এক কেজি ব্রয়লার মুরগি কিনতে লাগে ২৫০ ট্যাকা! আমার জীবনে আগে কহনো এই রহম দেহি নাই। মানুষের কী যে কষ্ট!’
কথা বলার শেষের দিকে দোকানে সয়াবিন তেল কিনতে এলেন স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী মাহমুদুল হাসান। এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলর দাম জানতে চাইলেন। ইউসুফ জানালেন, দাম ১৯০ টাকা। মাহমুদুল কিছুটা পিলে চমকালেন। কারণ, এক মাস আগেও এই একই তেল কিনেছেন ১৭০ টাকায়। দাম কমানোর জন্য ইউসুফের সঙ্গে কিছুটা সময় দর-কষাকষি করলেন তিনি। কিন্তু ইউসুফের মন গলল না। একপর্যায়ে তেল না কিনেই ফিরে যেতে দেখা গেল তাঁকে।
সম্প্রতি দোকানটিতে গিয়ে তেমন কোনো ক্রেতা পাওয়া গেল না। ইউসুফ ও তাঁর কর্মচারী মো. আলী বসে আছেন অনেকটা অলস। অনেকক্ষণ পরপর দুই-একজন ক্রেতা আসছেন। তবে সেভাবে পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। দর-কষাকষি করছেন, নয়তো ফিরে যাচ্ছেন পণ্য না কিনেই। আবার কেউবা ঠেকায় পড়ে কিনছেন প্রয়োজনের অর্ধেক অথবা তারও কম। তাই ঢিলেঢালা সময় যাচ্ছিল তাঁদের।
কিছু সময়ের জন্য কথা হয় ইউসুফের সঙ্গে। তিনি বলছিলেন, বিগত ৯ বছরের ব্যবসাজীবনে কখনো এমন ‘হার্ড টাইম’ (কঠিন সময়) পার করেননি তিনি। প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। কোনো পণ্যে একঠেলায় বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এসব কারণে দোকানে ক্রেতা নেই। কিছু ক্রেতা এলেও দাম শুনে ‘ভয়’ পাচ্ছেন। কেউ কেউ দর-কষাকষি করে পণ্য না কিনেই চলে যাচ্ছেন। এসব কারণে বেচাবিক্রি নেমে এসেছে অর্ধেকে। হিমশিম খেতে হচ্ছে দোকানভাড়া, বাড়িভাড়াসহ সন্তানের লেখাপড়ার খরচ নিয়ে।
কথার মাঝেই ইউসুফ গত ১৫ দিনের ব্যবধানে কিছু পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির নমুনা দেখালেন। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, ১৫ দিন আগেও তাঁর দোকানে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হতো ৮৫ টাকায়। কিন্তু রোজাকে সামনে রেখে এখন তা বেড়ে হয়েছে ৯৫ টাকা। একইভাবে সয়াবিন তেল (খোলা) বিক্রি হতো ১৭০ টাকায়। এখন তা বেড়ে হয়েছে ১৯০ টাকা। চিনির দাম ১১০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১৫ টাকা। মুড়ি ৭০ টাকা থেকে ৮৫, আটা ৬০ টাকা থেকে ৬৫, বেসন ৯০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা এবং ছোলার ডাল ১০৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা।
কিছুটা ক্ষোভ ঝেড়ে ইউসুফ বলেন, ‘মানুষ কী খাইয়্যা বাঁচব কন! আগে সচরাচর রোজার দু–এক দিন বা এক সপ্তাহ আগে কিছু জিনিসের দাম গড়ে চার থেকে পাঁচ টাকা বাড়ত। কিন্তু এবার এক মাস আগেই সবকিছুর দাম বাইড়্যা গেছে। আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বেশি দামে জিনিস কিনন্যা বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। কিন্তু কাস্টমাররা তা বোঝে না। দাম হুনন্যাই মন খারাপ করে। আমাগোর হইসে যত জ্বালা।’
ইউসুফের বাসা নগরের নিলেরপাড়া এলাকায়। থাকেন ভাড়া বাসায়। স্বামী-স্ত্রী, সন্তান, এক গৃহকর্মীসহ পরিবারে মোট সদস্যসংখ্যা ৪। এর মধ্যে ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। দোকানের আয় দিয়েই চলে সন্তানের লেখাপড়া ও সংসার খরচ। কিন্তু বর্তমান জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায় ভাটা পড়েছে। তাঁর মতে, আগে প্রতিদিন গড়ে পণ্য বিক্রি হতো ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার। এখন তা কমে ঠেকেছে ১০ থেকে ১২ হাজারে। এতে দোকানভাড়া, বাড়িভাড়া, সন্তানের লেখাপড়াসহ আনুষঙ্গিক খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। টিকে থাকতে তিনি নিজেও কাটছাঁট করছেন খাদ্যতালিকায়। চলতে হচ্ছে নানান হিসাব মিলিয়ে।
ইউসুফ বলেন, ‘দিন শেষে আমি নিজেও একজন কাস্টমার (ক্রেতা), তাই সাধারণ কাস্টমারগো কষ্ট বুঝি। বাজারে গেলেই মাথা ঘুরায়। এহন এক কেজি ব্রয়লার মুরগি কিনতে লাগে ২৫০ ট্যাকা! আমার জীবনে আগে কহনো এই রহম দেহি নাই। মানুষের কী যে কষ্ট!’
কথা বলার শেষের দিকে দোকানে সয়াবিন তেল কিনতে এলেন স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী মাহমুদুল হাসান। এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলর দাম জানতে চাইলেন। ইউসুফ জানালেন, দাম ১৯০ টাকা। মাহমুদুল কিছুটা পিলে চমকালেন। কারণ, এক মাস আগেও এই একই তেল কিনেছেন ১৭০ টাকায়। দাম কমানোর জন্য ইউসুফের সঙ্গে কিছুটা সময় দর-কষাকষি করলেন তিনি। কিন্তু ইউসুফের মন গলল না। একপর্যায়ে তেল না কিনেই ফিরে যেতে দেখা গেল তাঁকে।
saving score / loading statistics ...