Text Practice Mode
করোনা ভাইরাস
created Dec 8th 2022, 05:40 by BishwajitRoy
1
345 words
4 completed
0
Rating visible after 3 or more votes
00:00
২০২০ সালের জানুয়ারিতে বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমে খবর বের হয়, একটি নতুন জীবাণু সংক্রমণের মাধ্যমে চীনে নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব হয়েছে। এখন কোভিড-১৯ নামে সবার কাছে পরিচিত এ রোগ চীনের ভেতরেই থাকছে বলে সে সময় মনে হয়েছিল। ওই বছর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ নাগাদ চীনে রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ৭০০ জন। আর চীনের বাইরে এ রোগ ধরা পড়েছিল মাত্র ৪০ জনের। সে সময় বাকি বিশ্ব এ–সংক্রান্ত খবরগুলো দেখছিল, কিন্তু সামনে কী আসছে, তা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরের ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের জনস হপকিনস সেন্টার ফর হেলথ সিকিউরিটির পরিচালক ও চিকিৎসক টম ইঙ্গেলসবি অবশ্য চীনে উদ্বেগজনক লক্ষণ ধরতে পেরেছিলেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা বড় সংখ্যায় অসুস্থ হচ্ছিলেন; তরুণ, স্বাস্থ্যবান লোকজন মারা যাচ্ছিলেন, বড় বড় অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো শহরের চেয়ে বড় শহর বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছিলেন কর্মকর্তারা। ইঙ্গেলসবি জানতেন, বিশ্বের কোথাও এ মাত্রায় রোগ ছড়িয়ে পড়লে তা সবার জন্যই হুমকি তৈরি করতে পারে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ পরীক্ষা বাড়ানোসহ মহামারি মোকাবিলার প্রস্তুতি বাড়াতে তাগাদা দিতে শুরু করলেন।
কাছাকাছি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের মহামারি বিশেষজ্ঞ জেনিফার নুজোও সামনের ভয়াবহতা সম্পর্কে ঘণ্টাধ্বনি শুনতে পাচ্ছিলেন। সামনের মাসগুলোতে বিশ্বজুড়ে যেভাবে মৃত্যুহার ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছিল, তাতে ক্রমেই তাঁর হতাশা বাড়ছিল। কারণ, রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সাধারণ যে প্রস্তুতি থাকার দরকার হয়, তা ছিল না বলে এভাবে মানুষের প্রাণ ঝরছিল।
এপ্রিলে জেনিফার নুজো যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডের প্রভিডেন্সের ব্রাউন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব পাবলিক হেলথে নবপ্রতিষ্ঠিত প্যানডেমিক সেন্টারের পরিচালক পদে নিয়োগ পান। এরপর তিনি কাজ শুরু করেন ভবিষ্যতে আর কখনো বিশ্ব যেন এ রকম অরক্ষিত না হয়, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ মহামারি ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে সরকার ও অন্যান্য সংস্থাকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। তাদের কাজ হবে, স্বাস্থ্যসেবা খাতে নিয়োজিত ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন করা, যাতে তাঁরা পরবর্তী মহামারি দেখা দিলে দ্রুত তার বিস্তার রোধ এবং প্রভাব সীমিত রাখতে পারেন।
সংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ চিকিৎসাগত কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এ ক্ষেত্রে কোনো রোগ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঠপর্যায়ে তা শনাক্তের সক্ষমতা, এ তথ্য অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিনিময় করা গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে মহামারি মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের প্রস্তুতি, পরীক্ষিত কর্মপরিকল্পনা, সবার টিকা পাওয়ার সুযোগ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রীর সরবরাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু কিছু দেশের জন্যই নয়, পরবর্তী মহামারি দেখা দিলে তা রুখে দেওয়ার সক্ষমতা পুরো বিশ্বেরই থাকতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরের ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের জনস হপকিনস সেন্টার ফর হেলথ সিকিউরিটির পরিচালক ও চিকিৎসক টম ইঙ্গেলসবি অবশ্য চীনে উদ্বেগজনক লক্ষণ ধরতে পেরেছিলেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা বড় সংখ্যায় অসুস্থ হচ্ছিলেন; তরুণ, স্বাস্থ্যবান লোকজন মারা যাচ্ছিলেন, বড় বড় অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো শহরের চেয়ে বড় শহর বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছিলেন কর্মকর্তারা। ইঙ্গেলসবি জানতেন, বিশ্বের কোথাও এ মাত্রায় রোগ ছড়িয়ে পড়লে তা সবার জন্যই হুমকি তৈরি করতে পারে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ পরীক্ষা বাড়ানোসহ মহামারি মোকাবিলার প্রস্তুতি বাড়াতে তাগাদা দিতে শুরু করলেন।
কাছাকাছি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের মহামারি বিশেষজ্ঞ জেনিফার নুজোও সামনের ভয়াবহতা সম্পর্কে ঘণ্টাধ্বনি শুনতে পাচ্ছিলেন। সামনের মাসগুলোতে বিশ্বজুড়ে যেভাবে মৃত্যুহার ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছিল, তাতে ক্রমেই তাঁর হতাশা বাড়ছিল। কারণ, রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সাধারণ যে প্রস্তুতি থাকার দরকার হয়, তা ছিল না বলে এভাবে মানুষের প্রাণ ঝরছিল।
এপ্রিলে জেনিফার নুজো যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডের প্রভিডেন্সের ব্রাউন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব পাবলিক হেলথে নবপ্রতিষ্ঠিত প্যানডেমিক সেন্টারের পরিচালক পদে নিয়োগ পান। এরপর তিনি কাজ শুরু করেন ভবিষ্যতে আর কখনো বিশ্ব যেন এ রকম অরক্ষিত না হয়, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ মহামারি ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে সরকার ও অন্যান্য সংস্থাকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। তাদের কাজ হবে, স্বাস্থ্যসেবা খাতে নিয়োজিত ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন করা, যাতে তাঁরা পরবর্তী মহামারি দেখা দিলে দ্রুত তার বিস্তার রোধ এবং প্রভাব সীমিত রাখতে পারেন।
সংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ চিকিৎসাগত কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এ ক্ষেত্রে কোনো রোগ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঠপর্যায়ে তা শনাক্তের সক্ষমতা, এ তথ্য অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিনিময় করা গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে মহামারি মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের প্রস্তুতি, পরীক্ষিত কর্মপরিকল্পনা, সবার টিকা পাওয়ার সুযোগ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রীর সরবরাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু কিছু দেশের জন্যই নয়, পরবর্তী মহামারি দেখা দিলে তা রুখে দেওয়ার সক্ষমতা পুরো বিশ্বেরই থাকতে হবে।
saving score / loading statistics ...