Text Practice Mode
মৎস্য অধিদপ্তর , কম্পিউটার টাইপিং পরীক্ষা , সেট:- ২
created Nov 23rd 2022, 15:14 by Al Jobayer
4
284 words
27 completed
5
Rating visible after 3 or more votes
00:00
বেইলি সেতু ভেঙে খালে। যে বেইলি সেতুর ধারণক্ষমতা সর্বোচ্চ ২০ টন, সেটার ওপর দিয়ে যদি ২৭ টন ওজনের ট্রাক চলাচল করে আর সেতুটি যদি জরাজীর্ণ থাকে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সেটি ভেঙে পড়ার কথা। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী এলাকায় গত শুক্রবার রাতে ঠিক তা ই ঘটেছে। খনন যন্ত্র বোঝাই একটি ট্রাক বেইলি সেতুটি পার হওয়ার সময় তা ভেঙে খালে পড়ে যায়। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় মঠবাড়িয়া ও বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, বেনাপোল, পিরোজপুরের ১২টি স্থানের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
গত কয়েক বছর এই ধরনের বেশ কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের আগস্টে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী পাথরঘাটা সড়কের মাদারসী বেইলি সেতু ভেঙে পড়ে। একই বছর টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে একটি বেইলি সেতুর ওপর দিয়ে ৩৫ টনের একটি ট্রাক টুঠে পড়লে ট্রাকসহ ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। ২০১৫ সালে কাউখালী চট্টগ্রাম সড়কের বেতছড়ি এলাকায় একটি বেইলি সেতুর পাটাতন ভেঙে পড়ে। এতে কাউখালী চট্টগ্রাম ও রাঙামাটির মধ্যে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে একের পর এক বেইলি সেতু ভেঙে পড়ছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যাথা নেই। মঠবাড়িয়ার তুষখালী এলাকার ভেঙে পড়া সেতুটি ১৯৯৫ সালে নির্মণ করা হয়েছিল এবং দীর্ঘ ২৩ বছরে বড় ধরনের কোনো সংস্কার হয়নি। ফলে এটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিল। পিরোজপুরে আরও ১৮টি বেইলি সেতু রয়েছে যেগুলো সংস্কারের অভাবে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালের বন্যার বহু স্থানে সেতু কালভার্ট ভেঙে যায়। তখন সেসব জায়গায় বেইলি সেতু স্থাপন করে সাময়িক যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পরে আরও অনেক স্থানে বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সূত্রমতে, দেশের সড়ক মহাসড়কে ৪ হাজার ৪০৪টি সেতুর মধ্যে ৮৫৬টি হচ্ছে বেইলি সেতু। ইস্পাতের তৈরি এসব সেতু হালকা হয়ে থাকে। ভারী যানবাহন চলার জন্য এ ধরনের সেতু মোটেই উপযুক্ত নয়। তাই এখন উচিত বেইলি সেতুর জায়গায় কংক্রিটের সেতু নির্মাণ করা। কেননা, কংক্রিটের সেতু অবকাঠামোগত দিক থেকে অনেক বেশি টেকসই হয়।
গত কয়েক বছর এই ধরনের বেশ কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের আগস্টে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী পাথরঘাটা সড়কের মাদারসী বেইলি সেতু ভেঙে পড়ে। একই বছর টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে একটি বেইলি সেতুর ওপর দিয়ে ৩৫ টনের একটি ট্রাক টুঠে পড়লে ট্রাকসহ ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। ২০১৫ সালে কাউখালী চট্টগ্রাম সড়কের বেতছড়ি এলাকায় একটি বেইলি সেতুর পাটাতন ভেঙে পড়ে। এতে কাউখালী চট্টগ্রাম ও রাঙামাটির মধ্যে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে একের পর এক বেইলি সেতু ভেঙে পড়ছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যাথা নেই। মঠবাড়িয়ার তুষখালী এলাকার ভেঙে পড়া সেতুটি ১৯৯৫ সালে নির্মণ করা হয়েছিল এবং দীর্ঘ ২৩ বছরে বড় ধরনের কোনো সংস্কার হয়নি। ফলে এটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিল। পিরোজপুরে আরও ১৮টি বেইলি সেতু রয়েছে যেগুলো সংস্কারের অভাবে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালের বন্যার বহু স্থানে সেতু কালভার্ট ভেঙে যায়। তখন সেসব জায়গায় বেইলি সেতু স্থাপন করে সাময়িক যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পরে আরও অনেক স্থানে বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সূত্রমতে, দেশের সড়ক মহাসড়কে ৪ হাজার ৪০৪টি সেতুর মধ্যে ৮৫৬টি হচ্ছে বেইলি সেতু। ইস্পাতের তৈরি এসব সেতু হালকা হয়ে থাকে। ভারী যানবাহন চলার জন্য এ ধরনের সেতু মোটেই উপযুক্ত নয়। তাই এখন উচিত বেইলি সেতুর জায়গায় কংক্রিটের সেতু নির্মাণ করা। কেননা, কংক্রিটের সেতু অবকাঠামোগত দিক থেকে অনেক বেশি টেকসই হয়।
saving score / loading statistics ...