Text Practice Mode
হবিগঞ্জ জেলার ইতিহাস
created Nov 22nd 2022, 09:20 by Al Jobayer
0
263 words
8 completed
5
Rating visible after 3 or more votes
saving score / loading statistics ...
00:00
চা বাগান ও বিস্তৃত হাওর এলাকা দিয়ে ঘেরা বাংলাদেশের একটি চিরসবুজ জেলা হবিগঞ্জ জেলা। প্রথমে সিলেটের মহকুমা হিসেবে থাকলেও পরবর্তী সময়ে জেলা হিসেবে মর্যাদা পায়। সিলেট বিভাগের এ জেলার উত্তরে রয়েছে সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলা।, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পূর্বে মৌলভীবাজার এবং পশ্চিমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জ জেলা।
ইতিহাস ও নামকরণ:
হবিগঞ্জজেলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সৈয়দ নাছির উদ্দিন (রহ.)-এর নাম। তিনি ছিলেন হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর একজন অনুসারী সৈয়দ নাছির উদ্দিনের বংশধর সৈয়দ সুলতান ঐতিহাসিক সুলতানসি হাবেলির প্রতিষ্ঠাতা। সৈযদ সুলতানেরই এক অধস্তন সৈয়দ হেদায়েত উল্লাহর পুত্র সৈয়দ হবিব উল্লাহ খোয়াই নদের তীরে একটি গঞ্জ বা বাজার প্রতিষ্ঠা করেন, যার থেকে পরবর্তী সময়ে এই জেলার নাম হয় হবিগঞ্জ। ইংরেজ শাসনামলে ১৮৬৭ সালে হবিগঞ্জকে মহকুমা ঘোষণা করা হয় এবং ১৮৭৮ সালে হবিগঞ্জ মহকুমা গঠন করা হয়। ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ হবিগঞ্জকে জেলা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরে উপজেলাধীন তেলিয়াপাড়ার একটি বর্ণাঢ্য ইতিহাস রয়েছে। হবিগঞ্জের তিলিয়াপাড়া চা-বাগানে ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানীর উপস্থিতিতে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাবিষয়ক অতিগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অতীতকালে নৌ যোগাযোগের প্রাধান্য ও হাওরাঞ্চলের সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশধারায় হবিগঞ্জে যাত্রা, পালাগান, জারিগান, কাহিনিকাব্য, পাঁচালি প্রভৃতির উদ্ভব ও বিকাশ ঘটে। বৃহওর সিলেট জেলার অন্তর্গত হলেও হবিগঞ্জের ভাষায় সিলেটি ভাষার বৈশিষ্ট্য প্রায় নেই বললেই চলে হবিগঞ্জের ভাষা একটি ঐত্যিহ্যশালী ও গৌরবমণ্ডিত ভাষা। ভাষাতত্বের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষন করে হবিগঞ্জের লোকমুখে প্রচলিত ভাষাকে অনায়াসে একটি আঞ্চলিক ভাষারূপে চিহ্নিত করা যেতে পারে। এ অঞ্চলে অনেক মাজার থাকার কারণে মরমি গান ও মর্সিয়া গানের প্রচলন রয়েছে। এ ছাড়া হবিগঞ্জে সারিগান, ধামাইল নাচ ও গান, গাজার গাজীর গীত, কীর্তন, ব্রতসংগীত, চা-শ্রমিকদের হোলি গান ইত্যাদি প্রচলিত রয়েছে।
ইতিহাস ও নামকরণ:
হবিগঞ্জজেলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সৈয়দ নাছির উদ্দিন (রহ.)-এর নাম। তিনি ছিলেন হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর একজন অনুসারী সৈয়দ নাছির উদ্দিনের বংশধর সৈয়দ সুলতান ঐতিহাসিক সুলতানসি হাবেলির প্রতিষ্ঠাতা। সৈযদ সুলতানেরই এক অধস্তন সৈয়দ হেদায়েত উল্লাহর পুত্র সৈয়দ হবিব উল্লাহ খোয়াই নদের তীরে একটি গঞ্জ বা বাজার প্রতিষ্ঠা করেন, যার থেকে পরবর্তী সময়ে এই জেলার নাম হয় হবিগঞ্জ। ইংরেজ শাসনামলে ১৮৬৭ সালে হবিগঞ্জকে মহকুমা ঘোষণা করা হয় এবং ১৮৭৮ সালে হবিগঞ্জ মহকুমা গঠন করা হয়। ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ হবিগঞ্জকে জেলা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরে উপজেলাধীন তেলিয়াপাড়ার একটি বর্ণাঢ্য ইতিহাস রয়েছে। হবিগঞ্জের তিলিয়াপাড়া চা-বাগানে ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানীর উপস্থিতিতে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাবিষয়ক অতিগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অতীতকালে নৌ যোগাযোগের প্রাধান্য ও হাওরাঞ্চলের সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশধারায় হবিগঞ্জে যাত্রা, পালাগান, জারিগান, কাহিনিকাব্য, পাঁচালি প্রভৃতির উদ্ভব ও বিকাশ ঘটে। বৃহওর সিলেট জেলার অন্তর্গত হলেও হবিগঞ্জের ভাষায় সিলেটি ভাষার বৈশিষ্ট্য প্রায় নেই বললেই চলে হবিগঞ্জের ভাষা একটি ঐত্যিহ্যশালী ও গৌরবমণ্ডিত ভাষা। ভাষাতত্বের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষন করে হবিগঞ্জের লোকমুখে প্রচলিত ভাষাকে অনায়াসে একটি আঞ্চলিক ভাষারূপে চিহ্নিত করা যেতে পারে। এ অঞ্চলে অনেক মাজার থাকার কারণে মরমি গান ও মর্সিয়া গানের প্রচলন রয়েছে। এ ছাড়া হবিগঞ্জে সারিগান, ধামাইল নাচ ও গান, গাজার গাজীর গীত, কীর্তন, ব্রতসংগীত, চা-শ্রমিকদের হোলি গান ইত্যাদি প্রচলিত রয়েছে।
