Text Practice Mode
রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিন
created Nov 16th 2022, 13:07 by Arafat Sk
1
371 words
5 completed
0
Rating visible after 3 or more votes
00:00
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা আর দেশে বৈদেশিক মুদ্রার তীব্র সংকটের মুখে রপ্তানি আয় আর রেমিট্যান্স প্রবাহের গতিপ্রকৃতির দিকে এখন সবার নজর। বর্তমান অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রপ্তানি আয়ের নিম্নমুখী প্রবণতায় সংকট ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। রপ্তানি আয়ের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার জন্য রপ্তানির নতুন গন্তব্য সৃষ্টি কিংবা বিদ্যমান গন্তব্যগুলোকে কীভাবে আরও সমৃদ্ধ করা যায়, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা জরুরি হয়ে পড়েছে।তাছাড়া রপ্তানির ঝুড়িতে বিশ্ববাজারে প্রবেশে সক্ষম এমন পণ্যের সম্ভার বাড়াতে হবে।
যেমন রপ্তানি আয়ে একটি পণ্যের আধিপত্য প্রায় ৮১ শতাংশ (২০২১-২০২২)। ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারের ওপর অতিনির্ভরতা আমাদের রপ্তানি খাতের অন্যতম দুর্বলতা। কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই আমাদের রপ্তানি পণ্য পৌঁছেছিল ১০.৪১ বিলিয়ন ডলারে, যা ২০২১-২০২২ অর্থবছরের মোট রপ্তানির প্রায় ২০ শতাংশ। একক দেশ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের সর্ববৃহৎ আমদানিকারক। ইউরোপীয় ইউনিয়ন একক অঞ্চল যেখানে রপ্তানি হয়েছিল বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৪৪.৬০ শতাংশ। অর্থাৎ আমেরিকা ও ইউরোপীয় অঞ্চল বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ৭০ শতাংশের গন্তব্যস্থল।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ পণ্যের ওপর ভারত সাফটার আওতায় ২০০৬ সাল থেকে শুল্ক সুবিধা প্রদান করলেও রপ্তানি সেই হারে বাড়েনি।২০২১-২০২২ অর্থবছরে ১.৯৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা সম্ভর হয়েছে; যা ভারতের মোট আমদারিন মাত্র ০.৩২ শতাংশ। বাংলাদেশের দিক থেকে ভারতের অঘোষিত বিভিন্ন অশুল্ক বাধাকে এর জন্য দায়ী করা হলেও দেশের ব্যবসায়ীদের ভারতের বাজারের দিকে জোর উদ্যোগের অভার রয়েছে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ভারতীয় পণ্য আমদানির দিকে যত না ঝোঁক রয়েছে, বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রপ্তানিতে তেমন উদ্যোগ নেই। বেশ কয়েক বছর আগে আমি কলকাতায় একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় বাংলাদেশি কিছু প্রতিষ্ঠানের পণ্যের প্রতি ভারতীয় ক্রেতাদের প্রচুর আগ্রহ লক্ষ করলেও বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের পণ্য প্রদর্শনের বিষয়ে খুব একটা পেশাদর মনে হয়নি।
সরকারি উদ্যোগে ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে বাংলাদেশি পণ্যের বাণিজ্যমেলা আয়োজনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ভারতের প্রায় ১.৩৯ বিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় ৩১ শতাংশ মধ্যবিত্ত, যাদের যথেষ্ট ক্রয়ক্ষমতা রয়েছে। এ বিশাল জনগোষ্ঠীর চাহিদা বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের তাদের পণ্য আরও বেশি পরিমাণে ভারতে গ্রহণ করার সুযোগ সৃষ্টি হলেও বাংলাদেমি ব্যবসায়ীরা ‘আগ্রাসী’ ভূমিকা গ্রহণ না করলে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি আশানুরূপ হবে না, বলা যায়।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভৌগোলিক সুবিধা, সহজ কানেকটিভিটি, প্রায় একই সংস্কৃতির ভোক্তা শ্রেণির উপস্থিতি, ভারত কর্তৃক প্রদত্ত ট্যারিফ সুবিধা, ভারদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সঙ্গে ভারতের ব্যবসায়ীদের বিদ্যমান সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ যদি ভারতের এক-দশমাংশ জনসংখ্যার বাজার দখল করতে পারে, তাহলে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হলে তাদের উৎপাদিত পণ্য ভারতের বাজারে শুল্কমুক্তভাবে প্রবেশ করতে পারে।
যেমন রপ্তানি আয়ে একটি পণ্যের আধিপত্য প্রায় ৮১ শতাংশ (২০২১-২০২২)। ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারের ওপর অতিনির্ভরতা আমাদের রপ্তানি খাতের অন্যতম দুর্বলতা। কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই আমাদের রপ্তানি পণ্য পৌঁছেছিল ১০.৪১ বিলিয়ন ডলারে, যা ২০২১-২০২২ অর্থবছরের মোট রপ্তানির প্রায় ২০ শতাংশ। একক দেশ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের সর্ববৃহৎ আমদানিকারক। ইউরোপীয় ইউনিয়ন একক অঞ্চল যেখানে রপ্তানি হয়েছিল বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৪৪.৬০ শতাংশ। অর্থাৎ আমেরিকা ও ইউরোপীয় অঞ্চল বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ৭০ শতাংশের গন্তব্যস্থল।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ পণ্যের ওপর ভারত সাফটার আওতায় ২০০৬ সাল থেকে শুল্ক সুবিধা প্রদান করলেও রপ্তানি সেই হারে বাড়েনি।২০২১-২০২২ অর্থবছরে ১.৯৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা সম্ভর হয়েছে; যা ভারতের মোট আমদারিন মাত্র ০.৩২ শতাংশ। বাংলাদেশের দিক থেকে ভারতের অঘোষিত বিভিন্ন অশুল্ক বাধাকে এর জন্য দায়ী করা হলেও দেশের ব্যবসায়ীদের ভারতের বাজারের দিকে জোর উদ্যোগের অভার রয়েছে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ভারতীয় পণ্য আমদানির দিকে যত না ঝোঁক রয়েছে, বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রপ্তানিতে তেমন উদ্যোগ নেই। বেশ কয়েক বছর আগে আমি কলকাতায় একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় বাংলাদেশি কিছু প্রতিষ্ঠানের পণ্যের প্রতি ভারতীয় ক্রেতাদের প্রচুর আগ্রহ লক্ষ করলেও বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের পণ্য প্রদর্শনের বিষয়ে খুব একটা পেশাদর মনে হয়নি।
সরকারি উদ্যোগে ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে বাংলাদেশি পণ্যের বাণিজ্যমেলা আয়োজনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ভারতের প্রায় ১.৩৯ বিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় ৩১ শতাংশ মধ্যবিত্ত, যাদের যথেষ্ট ক্রয়ক্ষমতা রয়েছে। এ বিশাল জনগোষ্ঠীর চাহিদা বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের তাদের পণ্য আরও বেশি পরিমাণে ভারতে গ্রহণ করার সুযোগ সৃষ্টি হলেও বাংলাদেমি ব্যবসায়ীরা ‘আগ্রাসী’ ভূমিকা গ্রহণ না করলে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি আশানুরূপ হবে না, বলা যায়।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভৌগোলিক সুবিধা, সহজ কানেকটিভিটি, প্রায় একই সংস্কৃতির ভোক্তা শ্রেণির উপস্থিতি, ভারত কর্তৃক প্রদত্ত ট্যারিফ সুবিধা, ভারদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সঙ্গে ভারতের ব্যবসায়ীদের বিদ্যমান সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ যদি ভারতের এক-দশমাংশ জনসংখ্যার বাজার দখল করতে পারে, তাহলে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হলে তাদের উৎপাদিত পণ্য ভারতের বাজারে শুল্কমুক্তভাবে প্রবেশ করতে পারে।
saving score / loading statistics ...