Text Practice Mode
বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু পদ্মা বহুমুখী সেতু
created Nov 15th 2022, 05:49 by Arafat Sk
1
521 words
2 completed
0
Rating visible after 3 or more votes
00:00
একটি দেশের মান পরিমাপ করা হয় তার অর্থনীতি, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রবৃদ্ধি দ্বারা। যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন উন্নয়নের সূচক বোঝায়, তেমনি প্রতিটি দেশ চায় দ্রুত যোগাযোগের সাথে থাকতে। পদ্মা সেতু নাগরিকদের জন্য একটি উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা তালিকাভুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে বড় প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি।
বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু পদ্মা বহুমুখী সেতু। কোনোরূপ বৈদেশিক সাহায্য ছাড়াই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত সর্ব বৃহৎ প্রকল্প এই পদ্মা সেতু ।
পদ্মা সেতু দক্ষিণবঙ্গের মানুষের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হয়।
এই সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযােগ ঘটাবে। এই সেতু শুধু মাত্র একটি সেতু নয় এটা বাংলাদেশের অহংকার দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের আশা, স্বপ্ন এবং নতুন জীবনযাত্রা শুরু হয়েছে এই পদ্মা সেতুর মধ্য দিয়ে। এই পদ্মা সেতু বদলে দেবে দেশের অর্থনীতি, উন্নত হবে মানুষের জীবনযাত্রা।
পদ্মা সেতু হল বাংলাদেশের বৃহত্তম সেতু । এটি দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এই সেতুর উপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে। মূল সেতুর পিলার ৪২টি। এর মধ্যে নদীর মধ্যে ৪০টি ও নদীর দুই পাড়ে ২টি পিলার রয়েছে। নদীর ভেতরের ৪০টি পিলারে ৬টি করে মােট ২৪০টি পাইল রয়েছে। এছাড়া সংযােগ সেতুর দুই পাশের দুটি পিলারে ১২টি করে মােট ২৪টি পাইল রয়েছে। পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানাে হয়েছে।
সেতুর দুই পাড়ে ১২ কিলােমিটার সংযােগ সড়ক নির্মিত হয়েছে। নদীশাসনের জন্য চীনের সিনহাইড্রো কর্পোরেশন কাজ পেয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বুয়েট এবং কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন অ্যান্ড অ্যাসােসিয়েটস সেতুর নির্মাণ কাজ তদারকি করছে। মূল সেতুর কাজ করেছেন চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড।
পদ্মা সেতুর অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিহার্য। কেননা এই সেতুর মাধ্যমে রাজধানীর সাথে এই অঞ্চলের মানুষের সরাসরি সংযােগ সাধন ঘটায় কারণে অর্থনীতি গতিশীল হবে। নিচে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব তুলে ধরা হলাে-
পদ্মা সেতু নির্মিত হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞলের সাথে সরাসরি উত্তর-পূর্বাঞলের যােগাযােগ ঘটবে। ফলে এই অঞ্চলে গড়ে উঠবে নতুন নতুন শিল্পখাত। তাছাড়া এই সেতুকে কেন্দ্র করে গতিশীল হবে পায়রা সমুদ্র বন্দর। ফলে ব্যবসায়ের সুবিধার্থে স্থাপিত হবে নতুন শিল্পকারখানা।
বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যােগাযােগ ব্যবস্থা ভালাে না থাকায় তারা তাদের কৃষি কাজ করে লাভবান হতে পারেনা কারন , তাদের জাতায়াত বেবস্থা ভাল না হওায় তারা ঠিক সময়ে তাদের পণ্য বিক্রি করতে না পারলে তাদের অনেক খতিগ্রস্থ হয়। সেতু নির্মাণের ফলে যাতায়াত ব্যবস্থা ওই অঞ্চলের মানুষ তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায় গতিশীল হবে। ফলে ওই অঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সহজেই দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌছে যাবে। এতে কৃষা ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবে। এছাড়া কৃষিক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার সহজ হবে। ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞলের মানুষের দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই সেতু নির্মাণের ফলে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় সেখানে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। ফলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তাছাড়া সহজেই ওই অঞ্চলের মানুষ কাজের জন্য অন্যান্য স্থানে যেতে পারবে। এতে বেকারদের কর্মসংস্থান হবে।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের একটি স্বপ্নের নাম, যা দেশের অর্থনীতির চেহারা পাল্টে দেবে। এই সেতুর ফলে দেশের দক্ষিণাঞলে গড়ে উঠবে ব্যাপক শিল্পকারখানা, গার্মেন্টস,। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে আজ বাস্তবায়িত স্বপ্নের পদ্মা সেতু । বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় এই প্রকল্প খুলে দেবে দেশের উন্নতির নতুন দুয়ার। এই সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সামাজিক , অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে ।
বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু পদ্মা বহুমুখী সেতু। কোনোরূপ বৈদেশিক সাহায্য ছাড়াই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত সর্ব বৃহৎ প্রকল্প এই পদ্মা সেতু ।
পদ্মা সেতু দক্ষিণবঙ্গের মানুষের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হয়।
এই সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযােগ ঘটাবে। এই সেতু শুধু মাত্র একটি সেতু নয় এটা বাংলাদেশের অহংকার দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের আশা, স্বপ্ন এবং নতুন জীবনযাত্রা শুরু হয়েছে এই পদ্মা সেতুর মধ্য দিয়ে। এই পদ্মা সেতু বদলে দেবে দেশের অর্থনীতি, উন্নত হবে মানুষের জীবনযাত্রা।
পদ্মা সেতু হল বাংলাদেশের বৃহত্তম সেতু । এটি দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এই সেতুর উপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে। মূল সেতুর পিলার ৪২টি। এর মধ্যে নদীর মধ্যে ৪০টি ও নদীর দুই পাড়ে ২টি পিলার রয়েছে। নদীর ভেতরের ৪০টি পিলারে ৬টি করে মােট ২৪০টি পাইল রয়েছে। এছাড়া সংযােগ সেতুর দুই পাশের দুটি পিলারে ১২টি করে মােট ২৪টি পাইল রয়েছে। পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানাে হয়েছে।
সেতুর দুই পাড়ে ১২ কিলােমিটার সংযােগ সড়ক নির্মিত হয়েছে। নদীশাসনের জন্য চীনের সিনহাইড্রো কর্পোরেশন কাজ পেয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বুয়েট এবং কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন অ্যান্ড অ্যাসােসিয়েটস সেতুর নির্মাণ কাজ তদারকি করছে। মূল সেতুর কাজ করেছেন চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড।
পদ্মা সেতুর অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিহার্য। কেননা এই সেতুর মাধ্যমে রাজধানীর সাথে এই অঞ্চলের মানুষের সরাসরি সংযােগ সাধন ঘটায় কারণে অর্থনীতি গতিশীল হবে। নিচে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব তুলে ধরা হলাে-
পদ্মা সেতু নির্মিত হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞলের সাথে সরাসরি উত্তর-পূর্বাঞলের যােগাযােগ ঘটবে। ফলে এই অঞ্চলে গড়ে উঠবে নতুন নতুন শিল্পখাত। তাছাড়া এই সেতুকে কেন্দ্র করে গতিশীল হবে পায়রা সমুদ্র বন্দর। ফলে ব্যবসায়ের সুবিধার্থে স্থাপিত হবে নতুন শিল্পকারখানা।
বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যােগাযােগ ব্যবস্থা ভালাে না থাকায় তারা তাদের কৃষি কাজ করে লাভবান হতে পারেনা কারন , তাদের জাতায়াত বেবস্থা ভাল না হওায় তারা ঠিক সময়ে তাদের পণ্য বিক্রি করতে না পারলে তাদের অনেক খতিগ্রস্থ হয়। সেতু নির্মাণের ফলে যাতায়াত ব্যবস্থা ওই অঞ্চলের মানুষ তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায় গতিশীল হবে। ফলে ওই অঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সহজেই দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌছে যাবে। এতে কৃষা ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবে। এছাড়া কৃষিক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার সহজ হবে। ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞলের মানুষের দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই সেতু নির্মাণের ফলে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় সেখানে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। ফলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তাছাড়া সহজেই ওই অঞ্চলের মানুষ কাজের জন্য অন্যান্য স্থানে যেতে পারবে। এতে বেকারদের কর্মসংস্থান হবে।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের একটি স্বপ্নের নাম, যা দেশের অর্থনীতির চেহারা পাল্টে দেবে। এই সেতুর ফলে দেশের দক্ষিণাঞলে গড়ে উঠবে ব্যাপক শিল্পকারখানা, গার্মেন্টস,। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে আজ বাস্তবায়িত স্বপ্নের পদ্মা সেতু । বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় এই প্রকল্প খুলে দেবে দেশের উন্নতির নতুন দুয়ার। এই সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সামাজিক , অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে ।
saving score / loading statistics ...