Text Practice Mode
সুন্দরবনের মধুর চাহিদা দিন দিন বাড়লেও উৎপাদন বাড়ছে না
created Jun 30th 2022, 06:50 by MD. JUBAER RAHMAN BABU
1
244 words
18 completed
0
Rating visible after 3 or more votes
00:00
সুন্দরবনের মধুর চাহিদা দিন দিন বাড়লেও উৎপাদন বাড়ছে না সেই তুলনায়। কয়েক বছর ধরে উৎপাদনে স্থিতাবস্থা চলছে। বর্তমানে সুন্দরবন থেকে যে পরিমাণ মধু আহরিত হচ্ছে, তা চাহিদার তুলনায় কম। মধুর অনলাইন বাজার প্রসারিত হওয়ায় এর কদর এবং দাম দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছে।
উৎপাদন কম ও চাহিদা বাড়ায় মধুর প্রকারভেদে গতবারের চেয়ে এ বছর কেজিতে দাম বেড়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। ফলে সুন্দরবনের মধু সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। বর্তমানে শরণখোলাসহ সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকার খুচরা বাজারে এক কেজি মধু বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকায়। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর পূর্ব সুন্দরবন থেকে এক হাজার ৫০ কুইন্টাল মধু আহরিত হয়েছিল। কিন্তু এ বছর আহরণ হয়েছে মাত্র ৬৫৪ কুইন্টাল। এ বছর মধু কম হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, মৌসুমের মাঝামাঝি অর্থাৎ ১ জুন থেকে সুন্দরবনের মৎস্য প্রজাতির প্রজনন মৌসুম শুরু হয়। এ কারণে ১৪ মে থেকে মধুসহ সুন্দরবনের সব ধরনের পাস-পারমিট বন্ধ করা হয়।
খুড়িয়ালী গ্রামের মৌয়াল আল-আমিন ফরাজী, ইসমাইল জমাদ্দার বলেন, ‘আমরা একেকজন ১৫-২০ বছর ধরে সুন্দরবনে মধু ভাঙছি (আহরণ)। আগে বনের এক-দেড় কিলোমিটার এলাকা খুঁজলেই পাঁচ-ছয়টি মৌচাক পাওয়া যেত। একেকটি মৌচাক থেকে চার থেকে পাঁচ কেজি মধু পেয়েছি। কিন্তু এবার মাইলের পর মাইল হেঁটেও মৌমাছি ও মৌচাক কোনোটিই চোখে পড়ে না। ’
ধীরে ধীরে মধু ও মৌমাছি কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে অভিজ্ঞ এই মৌয়ালরা জানান, সুন্দরবনে বিষ দিয়ে অহরহ মাছ ধরা হচ্ছে। বিষক্রিয়ায় বনের মাটি-পানি বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। আর মৌমাছিরা নদীর চরের কাদা মাটি দিয়ে প্রথমে তাদের বাসা তৈরির সূচনা করে। মাটি সংগ্রহ করার সময় বিষে মৌমাছি মরছে।
উৎপাদন কম ও চাহিদা বাড়ায় মধুর প্রকারভেদে গতবারের চেয়ে এ বছর কেজিতে দাম বেড়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। ফলে সুন্দরবনের মধু সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। বর্তমানে শরণখোলাসহ সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকার খুচরা বাজারে এক কেজি মধু বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকায়। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর পূর্ব সুন্দরবন থেকে এক হাজার ৫০ কুইন্টাল মধু আহরিত হয়েছিল। কিন্তু এ বছর আহরণ হয়েছে মাত্র ৬৫৪ কুইন্টাল। এ বছর মধু কম হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, মৌসুমের মাঝামাঝি অর্থাৎ ১ জুন থেকে সুন্দরবনের মৎস্য প্রজাতির প্রজনন মৌসুম শুরু হয়। এ কারণে ১৪ মে থেকে মধুসহ সুন্দরবনের সব ধরনের পাস-পারমিট বন্ধ করা হয়।
খুড়িয়ালী গ্রামের মৌয়াল আল-আমিন ফরাজী, ইসমাইল জমাদ্দার বলেন, ‘আমরা একেকজন ১৫-২০ বছর ধরে সুন্দরবনে মধু ভাঙছি (আহরণ)। আগে বনের এক-দেড় কিলোমিটার এলাকা খুঁজলেই পাঁচ-ছয়টি মৌচাক পাওয়া যেত। একেকটি মৌচাক থেকে চার থেকে পাঁচ কেজি মধু পেয়েছি। কিন্তু এবার মাইলের পর মাইল হেঁটেও মৌমাছি ও মৌচাক কোনোটিই চোখে পড়ে না। ’
ধীরে ধীরে মধু ও মৌমাছি কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে অভিজ্ঞ এই মৌয়ালরা জানান, সুন্দরবনে বিষ দিয়ে অহরহ মাছ ধরা হচ্ছে। বিষক্রিয়ায় বনের মাটি-পানি বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। আর মৌমাছিরা নদীর চরের কাদা মাটি দিয়ে প্রথমে তাদের বাসা তৈরির সূচনা করে। মাটি সংগ্রহ করার সময় বিষে মৌমাছি মরছে।
saving score / loading statistics ...