Text Practice Mode
ইউরপিয়ান সেবা বনাম দেশীয় সেবা
created Nov 27th 2020, 04:42 by ImranAhmed1
1
282 words
0 completed
0
Rating visible after 3 or more votes
ইউরোপের শহরগুলোতে আমজনতার জন্য পথের পাশে বিভিন্ন জায়গায় স্ট্যান্ডে অনেক বাইসাইকেল সাজানো থাকে।
যার প্রয়োজন হয় সে পাশের মেশিনে কিছু ইউরো খরচ করে অথবা অ্যাপস থেকে পিন নাম্বার নিয়ে তালা খোলে, আবার কাজ শেষে সাইকেলটা জায়গামতো রেখে যায়। ছবিটা ফ্রান্সের নন্টস শহর থেকে তোলা।
১)মানহাইমঃ বর্গক্ষেত্রের শহর।
২)জার্মানির সবচেয়ে বড় উদ্যান ও তার স্থপতি
৩)ডেসাউ: স্থাপত্যশৈলী প্রেমীদের শহর
৪)পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় জার্মানির দ্বীপগুলো
এই একই সুবিধা যদি ঢাকা শহরে থাকতো, তাহলে কি হতো?
দুইদিন পরই দেখা যেত কয়েকটা সাইকেল গায়েব। সিটি কর্পোরেশন সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর পরের দিন আরও কয়েকটা সাইকেলের সাথে সাথে সিসি ক্যামেরাটাও পুরা হাওয়া!
যে কয়েকটা সাইকেল দাঁড়িয়ে আছে সেইগুলোর কোন কোনটাতে লেখা ঝুলছে “ প্রপার্টি, কালা মিজান“, বা “ঐ তুই ক্যাডা?“, বা “ধরছোস তো মরছোস“ জাতীয় আদর-আপ্যায়ন।
পাশ থেকে ২ বান্দা হাজির হয়ে, “এইগুলা ঘণ্টায় ৩০ ট্যাকা কইরা ভাড়া আছে, লইলে আওয়াজ দিয়েন মামা“।
একটু দুরেই এক পুলিশ ভাই দাঁত খিলাল করতে করতে আপনার দিকে তাকিয়ে ফিচিক হাসি দিচ্ছে। ঘটনা ক্লিয়ার। পুরা এলাকা চলছে কালা মিজানের ইশারায়।
অথবা দেখা যাবে প্রত্যেকটা সাইকেলের চাকা ন্যাতানো। চোক্ষের পলকে ২ জন কান্ধে পাম্পার নিয়ে হাজির। “কি মামা, হাওয়া দেওন লাগবো? ২ চাক্কা ২০ ট্যাকা“।
পাশেই একটা মিস্ত্রি সাইকেলের কতোগুলা খুচরা পার্টস নীল পলিথিনের উপর বিছাইয়া “আল্লাহ্ ভরসা“ বইলা শুরু করে দিয়েছে ওনার নতুন “স্টার্ট-আপ“ ব্যাবসা।
অথবা দেখা যেত কেউ তার ব্যাক্তিগত সাইকেলটাও সেখানে এনে স্ট্যান্ডে দড়ি দিয়ে বেঁধে ঝিমে ব্যাবসা করে যাচ্ছে।
একদিন গিয়ে দেখতেন স্ট্যান্ডটাই আর নাই। ঐ জায়গায় সুন্দর করে বসছে একটা ভ্রাম্যমাণ ভাতের হোটেল। ওনার বাপ-দাদারও নাকি ঠিক ঐ জায়গাতেই ভাতের হোটেল ছিল। সরকার দখল করছে।
বাঙালির মতো এতো ব্রিলিয়ান্ট আইডিয়া আর এতো ভালো ব্যাবসা যদি ফ্রেঞ্চ বা জার্মান জাতিরা বুঝতো, তাহলে তো তারা অনেক আগেই উন্নত আর সভ্য জাতিতে পরিনত হইতো! আফসোস!!
00:00
ইউরোপের শহরগুলোতে আমজনতার জন্য পথের পাশে বিভিন্ন জায়গায় স্ট্যান্ডে অনেক বাইসাইকেল সাজানো থাকে।
যার প্রয়োজন হয় সে পাশের মেশিনে কিছু ইউরো খরচ করে অথবা অ্যাপস থেকে পিন নাম্বার নিয়ে তালা খোলে, আবার কাজ শেষে সাইকেলটা জায়গামতো রেখে যায়। ছবিটা ফ্রান্সের নন্টস শহর থেকে তোলা।
১)মানহাইমঃ বর্গক্ষেত্রের শহর।
২)জার্মানির সবচেয়ে বড় উদ্যান ও তার স্থপতি
৩)ডেসাউ: স্থাপত্যশৈলী প্রেমীদের শহর
৪)পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় জার্মানির দ্বীপগুলো
এই একই সুবিধা যদি ঢাকা শহরে থাকতো, তাহলে কি হতো?
দুইদিন পরই দেখা যেত কয়েকটা সাইকেল গায়েব। সিটি কর্পোরেশন সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর পরের দিন আরও কয়েকটা সাইকেলের সাথে সাথে সিসি ক্যামেরাটাও পুরা হাওয়া!
যে কয়েকটা সাইকেল দাঁড়িয়ে আছে সেইগুলোর কোন কোনটাতে লেখা ঝুলছে “ প্রপার্টি, কালা মিজান“, বা “ঐ তুই ক্যাডা?“, বা “ধরছোস তো মরছোস“ জাতীয় আদর-আপ্যায়ন।
পাশ থেকে ২ বান্দা হাজির হয়ে, “এইগুলা ঘণ্টায় ৩০ ট্যাকা কইরা ভাড়া আছে, লইলে আওয়াজ দিয়েন মামা“।
একটু দুরেই এক পুলিশ ভাই দাঁত খিলাল করতে করতে আপনার দিকে তাকিয়ে ফিচিক হাসি দিচ্ছে। ঘটনা ক্লিয়ার। পুরা এলাকা চলছে কালা মিজানের ইশারায়।
অথবা দেখা যাবে প্রত্যেকটা সাইকেলের চাকা ন্যাতানো। চোক্ষের পলকে ২ জন কান্ধে পাম্পার নিয়ে হাজির। “কি মামা, হাওয়া দেওন লাগবো? ২ চাক্কা ২০ ট্যাকা“।
পাশেই একটা মিস্ত্রি সাইকেলের কতোগুলা খুচরা পার্টস নীল পলিথিনের উপর বিছাইয়া “আল্লাহ্ ভরসা“ বইলা শুরু করে দিয়েছে ওনার নতুন “স্টার্ট-আপ“ ব্যাবসা।
অথবা দেখা যেত কেউ তার ব্যাক্তিগত সাইকেলটাও সেখানে এনে স্ট্যান্ডে দড়ি দিয়ে বেঁধে ঝিমে ব্যাবসা করে যাচ্ছে।
একদিন গিয়ে দেখতেন স্ট্যান্ডটাই আর নাই। ঐ জায়গায় সুন্দর করে বসছে একটা ভ্রাম্যমাণ ভাতের হোটেল। ওনার বাপ-দাদারও নাকি ঠিক ঐ জায়গাতেই ভাতের হোটেল ছিল। সরকার দখল করছে।
বাঙালির মতো এতো ব্রিলিয়ান্ট আইডিয়া আর এতো ভালো ব্যাবসা যদি ফ্রেঞ্চ বা জার্মান জাতিরা বুঝতো, তাহলে তো তারা অনেক আগেই উন্নত আর সভ্য জাতিতে পরিনত হইতো! আফসোস!!
saving score / loading statistics ...