Text Practice Mode
করোনাযুদ্ধে অন্য রকম এক যোদ্ধা সাদিকুল
created Apr 24th 2020, 13:50 by GolamMostofa
5
283 words
0 completed
0
Rating visible after 3 or more votes
00:00
ঢাকায় করোনাভইরাসের কারণে অনেক এলাকায় লকডাউনে ঘরবন্দী অগণিত মানুষ। অনেকে নিত্যপণ্য যাওবা কয়েক দিনের জন্য কিনে রেখেছিলেন, এখন সেসবের ফের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তার জন্য ঘরের বাইরে পা দেওয়াই তো বিপদ। এসব ঘরবন্দী মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থী সাদিকুল ইসলাম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিশেষ শিক্ষা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাদিকুল। রাজধানীর ঘরবন্দী মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন পণ্য পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। ত্রাণ কার্যক্রমসহ বিভিন্ন উদ্যোগে তাঁর সংগঠন বৃহন্নলার হিজড়া সদস্যরা অংশ নিচ্ছেন।
আজ শুক্রবার সকালে টেলিফোনে সাদিকুল বললেন, 'এক বাসার সদস্যরা ঘর থেকে বের হতে চাইছেন না, আবার রমজানও শুরু হচ্ছে। তাই বাজার করে ওই বাসার গেটের বাইরে দিয়ে আসব, তাই এখন বাজারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
শুধু বাজার নয়, কেউ হয়তো দরিদ্র মানুষকে রান্না করা খাবার দিতে চাইছেন, কিন্তু ঘরে ওয়ানটাইম বা একবার ব্যবহারের জন্য যে বক্স তা নেই, আবার খাবার পৌঁছে দিতেও ঘরের বাইরে যেতে চাইছেন না, তখন ডাক পড়ে সাদিকুলের। তিনি বক্স কিনে দিয়ে আসেন, আবার প্যাকেট করা খাবারগুলোও বিতরণ করে দেন। কারও নামে আসা পার্সেল পৌঁছে দেওয়া, কেউ কারও কাছে কিছু পাঠাতে চাইলে তা দিয়ে আসা, এসব করছেন তিনি। এভাবে ঘরবন্দী মানুষের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করছেন তিনি। ১৪ এপ্রিল থেকে তিনি এভাবেই কাজ করছেন।
সাদিকুল বললেন, 'কাজের জন্য অনেকে বিকাশে টাকা পাঠিয়ে দেন, আবার অনেকে বাজার বা অন্য কিছু কিনে পৌঁছে দেওয়ার পরও টাকাটা দিচ্ছেন। আমি পৌঁছে দেওয়ার এ কাজের জন্য কোনো টাকা নিই না। তবে পরিচিত বা অনেকেই মূল টাকার সঙ্গে কিছু বাড়তি টাকা দিয়ে দেন বা বাসার গেটে গেলে আমার জন্য কিছু খাবার দিয়ে দেন। আমি বরাবরই বলছি, আমি কোনো কিছুর বিনিময়ে কাজটা করছি না, শুধু দেশের এই পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকতে চাইছি। তবে আমি যেহেতু সাইকেল চালিয়ে কাজটা করি, তাই এক বোতল হালকা ঠান্ডা পানি আর এক টুকরো হাসি চাই সবার কাছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিশেষ শিক্ষা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাদিকুল। রাজধানীর ঘরবন্দী মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন পণ্য পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। ত্রাণ কার্যক্রমসহ বিভিন্ন উদ্যোগে তাঁর সংগঠন বৃহন্নলার হিজড়া সদস্যরা অংশ নিচ্ছেন।
আজ শুক্রবার সকালে টেলিফোনে সাদিকুল বললেন, 'এক বাসার সদস্যরা ঘর থেকে বের হতে চাইছেন না, আবার রমজানও শুরু হচ্ছে। তাই বাজার করে ওই বাসার গেটের বাইরে দিয়ে আসব, তাই এখন বাজারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
শুধু বাজার নয়, কেউ হয়তো দরিদ্র মানুষকে রান্না করা খাবার দিতে চাইছেন, কিন্তু ঘরে ওয়ানটাইম বা একবার ব্যবহারের জন্য যে বক্স তা নেই, আবার খাবার পৌঁছে দিতেও ঘরের বাইরে যেতে চাইছেন না, তখন ডাক পড়ে সাদিকুলের। তিনি বক্স কিনে দিয়ে আসেন, আবার প্যাকেট করা খাবারগুলোও বিতরণ করে দেন। কারও নামে আসা পার্সেল পৌঁছে দেওয়া, কেউ কারও কাছে কিছু পাঠাতে চাইলে তা দিয়ে আসা, এসব করছেন তিনি। এভাবে ঘরবন্দী মানুষের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করছেন তিনি। ১৪ এপ্রিল থেকে তিনি এভাবেই কাজ করছেন।
সাদিকুল বললেন, 'কাজের জন্য অনেকে বিকাশে টাকা পাঠিয়ে দেন, আবার অনেকে বাজার বা অন্য কিছু কিনে পৌঁছে দেওয়ার পরও টাকাটা দিচ্ছেন। আমি পৌঁছে দেওয়ার এ কাজের জন্য কোনো টাকা নিই না। তবে পরিচিত বা অনেকেই মূল টাকার সঙ্গে কিছু বাড়তি টাকা দিয়ে দেন বা বাসার গেটে গেলে আমার জন্য কিছু খাবার দিয়ে দেন। আমি বরাবরই বলছি, আমি কোনো কিছুর বিনিময়ে কাজটা করছি না, শুধু দেশের এই পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকতে চাইছি। তবে আমি যেহেতু সাইকেল চালিয়ে কাজটা করি, তাই এক বোতল হালকা ঠান্ডা পানি আর এক টুকরো হাসি চাই সবার কাছে।
saving score / loading statistics ...