eng
competition

Text Practice Mode

কিশোরী মনের দোলাচল-১

created Sep 25th 2019, 11:20 by polas


3


Rating

217 words
18 completed
00:00
পাড়ার ২১ বছরের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলেটি যখন মাথা নিচু করে হেঁটে যান, ১৬ ছুঁয়ে যাওয়া কিশোরী মেয়েটির মনে তখন যেন কাঁপন ওঠে। শীতের সকালে আমলকীর ডালে যেমন আলোর নাচন আসে, অনেকটা তেমন। গোপনে গোপনে এমন ভালো লাগা আগেকার মতো ফেসবুকের এই যুগেও চলে। কোনো কোনো কিশোরী সেই ভালো লাগার কথা প্রকাশ করতে পারে না। বয়ঃসন্ধিতে তো এমনই হওয়ার কথা। হঠাৎ বিরক্তি, কথার হেরফেরে চোখে পানি চলে আসা, কপট রাগে দরজার কপাট লাগিয়ে দেওয়া-সবই তো এই ‘বয়সের দোষ’। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় বয়ঃসন্ধি কালের সমস্যা।
কদিন আগে যাকে ছোট হিসেবে গণ্য করা হতো পরিবারে, তার আচমকা এই পরিবর্তন পরিবারও মেনে নিতে পারে না। বিশেষ করে মায়ের সঙ্গে, বড় বোন থাকলে তাঁর সঙ্গে এঁড়ে তর্ক লেগে যায়। কোনো খবরদারি, নজরদারি বা শাসনে তাকে আটকাতে গেলেই বাধে যত বিপত্তি। কিশোরী মেয়েটির নিজের কাছেও নিজেকে অচেনা লাগে। মনে হতে থাকে, অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই তার। বাড়ির কিশোরী মেয়েটির কাছে মা-বাবাকে দূরের মানুষ মনে হয়। ‘কেন মা-বাবা আমাকে বোঝে না?’, ‘আমি তো আর ছোট নেই’, ‘ভাইয়াকে বন্ধুদের সঙ্গে বের হতে দিচ্ছে, আমাকে দিচ্ছে না’- অভিযোগের সুরে কিশোরীর মুখে এমন কথা শোনা যায়। মা-বাবা ছক্কা পেটানোর মতো করে এসব অনুযোগের লুজ বলগুলো ঝেঁটিয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেন।
মনোবিজ্ঞানীদের মতে, বয়ঃসন্ধিতে ছেলে মেয়ে উভয়েই বেশি স্পর্শকাতর থাকে। সামাজিক কারণে মেয়েরা আরেকটু আড়ষ্ট থাকে। ফলে তাদের অভিযোগ, অনুযোগ এমনকি সাধারন মন খারাপকেও গুরুত্ব দিতে হবে।

saving score / loading statistics ...