Text Practice Mode
ঝড়েও টলেনি রোমানের নিশানা-৩
created Sep 21st 2019, 12:56 by polas
4
69 words
8 completed
5
Rating visible after 3 or more votes
00:00
সেসব স্মৃতিচারণার ফাঁকে গর্বিত মা বলেন, ‘রোমান এশিয়ার শ্রেষ্ঠ হয়েছে। খবরটা শুনে আমি কাদতি কাদতি অসুস্থ হয়ে গেছি। আমি সব সময় অসুখে পড়ে থাকি। ১৩ বছর ধরে চিকিৎসা চলছে। ইনসুলিন নিতে হয়, সে খরচ লাগে। বিভিন্ন ওষুধ খেতে হয়। আমার সামর্থ্য নেই। কিন্তু তিন ছেলেমেয়েকে সুপথে রেখেছি। এটাই আজ আমার বড় সুখ।’ ১৭ সেপ্টেম্বর প্রদানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে রোমান সানাকে মিষ্টিমুখ করান। তখন রোমানের মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন তিনি।
দুরন্ত কোনো নদীর মতো বয়ে চলা এই জীবনে সানা পরিবার সুখী। কিন্তু পেছনে আছে অনেক কষ্টের গল্প। নিঃশব্দে গফুর সানা বলেন, ’খুলনা শহরে এসে তিনটা বাসা বদল করি আগে। রোমান চাকরি করার পর চার মাস আগে একটু ভালো বাসায় উঠেছি।’ বাসা নিয়ে একটা স্মৃতি ভোলেন না, ‘খুলনা শহরে প্রথমে দেড় শ টাকায় ছোট্ট একটা বাসায় উঠি। দেড় শ টাকা করে একটা চৌকি আর একটা হিটার কিনি। জ্বলন্ত হিটারে একবার হাত ঢুকিয়ে দেয় ছোট্ট রোমান। পাশে তালতলা হাসপাতালে নিতে হয় ওকে। ওর বুড়া আঙুলে এখনো পোড়া দাগটা আছে।’
৬০০/৭০০ বর্গফুটের এ বাসার দুটি ঘরের একটিতে মা-বাবা, অন্যটিতে ভাই-ভাবি থাকেন। রোমান এলে থাকার জায়গা নিয়ে বাবতে হয়। আর রোমানের সব পুরস্কার, ৪০-৫০টি পদক, সনদ-সব টিভি ট্রলির ভেতর।
খেলাটা রোমানের খুব পছন্দ। কতটা? বিউটি পারভীন বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন আজানের সময় দেখি, ও বাসায় নেই। পরে শুনি সার্কিট হাউস মাঠে গেছে ক্রিকেট খেলতে।’ আজও মুগ্ধতা মায়ের কণ্ঠে। সেই ক্রিকেট ছেড়ে রোমান আর্চার হলেন বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের উদ্যোগে স্থানীয় স্কুলে আর্চারির এক বাছাইয়ে টিকে। সবাই আজ তাঁকে নিয়ে গর্বিত।
জমি বন্ধক
২০১২ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হন রোমান। খুলনার পঙ্গু হাসপাতালে ১ মাস ১৩ দিন কাটে। ভাইকে তখন বলেছিলেন, ‘আমার তো লাইফ শেষ।’ কিন্তু উঠে দাঁড়িয়ে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ গেমসে পেলেন জীবনে প্রথম সোনার পদক। সেই সময় ছেলের চিকিৎসার টাকার চিন্তায় গফুর সানার জীবন হয়ে ওঠে তপ্ত মরুভূমির মতো। পৈতৃকসূত্রে একটা তালগাছ আর ১০ কাঠা জমি পান। গাছটা বিক্রি করেন। জমি বন্ধক দিয়ে নেওয়া ১২ হাজার টাকা এখনো শোধ দিতে পারেননি। গফুর সানা বলেন, ‘ছেলে বাড়ি এলে বলেছি, তোমার পা ভাঙার সময় জমি বন্ধক দিয়ে নেওয়া টাকাটা এখনো ফেরত দিতে পারিনি। ও বলেছে, আব্বা, চিন্তা করবেন না, আমি খেলে আসি।’
দুরন্ত কোনো নদীর মতো বয়ে চলা এই জীবনে সানা পরিবার সুখী। কিন্তু পেছনে আছে অনেক কষ্টের গল্প। নিঃশব্দে গফুর সানা বলেন, ’খুলনা শহরে এসে তিনটা বাসা বদল করি আগে। রোমান চাকরি করার পর চার মাস আগে একটু ভালো বাসায় উঠেছি।’ বাসা নিয়ে একটা স্মৃতি ভোলেন না, ‘খুলনা শহরে প্রথমে দেড় শ টাকায় ছোট্ট একটা বাসায় উঠি। দেড় শ টাকা করে একটা চৌকি আর একটা হিটার কিনি। জ্বলন্ত হিটারে একবার হাত ঢুকিয়ে দেয় ছোট্ট রোমান। পাশে তালতলা হাসপাতালে নিতে হয় ওকে। ওর বুড়া আঙুলে এখনো পোড়া দাগটা আছে।’
৬০০/৭০০ বর্গফুটের এ বাসার দুটি ঘরের একটিতে মা-বাবা, অন্যটিতে ভাই-ভাবি থাকেন। রোমান এলে থাকার জায়গা নিয়ে বাবতে হয়। আর রোমানের সব পুরস্কার, ৪০-৫০টি পদক, সনদ-সব টিভি ট্রলির ভেতর।
খেলাটা রোমানের খুব পছন্দ। কতটা? বিউটি পারভীন বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন আজানের সময় দেখি, ও বাসায় নেই। পরে শুনি সার্কিট হাউস মাঠে গেছে ক্রিকেট খেলতে।’ আজও মুগ্ধতা মায়ের কণ্ঠে। সেই ক্রিকেট ছেড়ে রোমান আর্চার হলেন বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের উদ্যোগে স্থানীয় স্কুলে আর্চারির এক বাছাইয়ে টিকে। সবাই আজ তাঁকে নিয়ে গর্বিত।
জমি বন্ধক
২০১২ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হন রোমান। খুলনার পঙ্গু হাসপাতালে ১ মাস ১৩ দিন কাটে। ভাইকে তখন বলেছিলেন, ‘আমার তো লাইফ শেষ।’ কিন্তু উঠে দাঁড়িয়ে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ গেমসে পেলেন জীবনে প্রথম সোনার পদক। সেই সময় ছেলের চিকিৎসার টাকার চিন্তায় গফুর সানার জীবন হয়ে ওঠে তপ্ত মরুভূমির মতো। পৈতৃকসূত্রে একটা তালগাছ আর ১০ কাঠা জমি পান। গাছটা বিক্রি করেন। জমি বন্ধক দিয়ে নেওয়া ১২ হাজার টাকা এখনো শোধ দিতে পারেননি। গফুর সানা বলেন, ‘ছেলে বাড়ি এলে বলেছি, তোমার পা ভাঙার সময় জমি বন্ধক দিয়ে নেওয়া টাকাটা এখনো ফেরত দিতে পারিনি। ও বলেছে, আব্বা, চিন্তা করবেন না, আমি খেলে আসি।’
saving score / loading statistics ...