Text Practice Mode
ঝড়েও টলেনি রোমানের নিশানা-২
created Sep 21st 2019, 12:54 by polas
1
302 words
10 completed
0
Rating visible after 3 or more votes
00:00
স্বামীর পাশে বসে বিউটি পারভীন তখন ছেলের সব পদক নাড়াচাড়া করছিলেন সযত্নে। ছোট ভাইয়ের সাফল্যে উদ্বেলিত বড় ভাই বিপ্লব সানাও পাশে বসেন। বিপ্লবের ছোট্ট ছেলে জিয়া সানা ’আমিও কাকুর মতো তির-ধনুক নিয়ে খেলব’ বলে ওঠে হঠাৎ। হেসে ওঠেন সবাই। বিপ্লব বলেন, ‘রোমানের চোখের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ। ছোটবেলায় ও প্রচুর মার্বেল খেলত।’ ওদিকে বাবার চোখের রাডারে ছোটবেলাতেই ধরা পড়ে গেলেন রোমান, ছোটবেলায় চঞ্চল ছিল রোমান। গুলতি দিয়ে আম পাড়ত। তখনই কেন যেন মনে হতো, একদিন ও বড় কিছু করবে।’
২৪ বছর বয়সেই সেটি করেছেন রোমান। তাই আজ গফুর সানার আকাশে সুখপাখির আনাগোনা। কষ্ট আর অনটনের স্মৃতিটা তাঁকে এখন বরং আনন্দ দেয়। ‘অফিসে গেলে লোকজন বলে, মিষ্টি কই?’ গফুর সানার মুখে কথায় বেশ শোনায়। অনেক বছর ধরে মাছ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান খুলনা রাজু ফিশ ট্রেডার্সে চাকুরে গফুর সানা আজ তৃপ্ত। মাছ ভালো কি না, এসব তদারকির কাজটা তাঁকে করতে হয় বেলো তিনটা থেকে ভোর পর্যন্ত। তিন হাজার টাকায় শুরু। এখন বেতন সাকল্যে ছয় হাজার। এক-দেড় হাজার টাকায় যাতায়াত খরচ পান। ‘তবে দুই হাজার টাকা তো আমার পান খাতিই চলি যায়। আর কোনো কিছু খাই না।’ গফুর সানা হেসে বলেন। বড় ছেলের চাকরিও খুলনায় একটা মাছ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে। ভাতাসহ তিনি প্রায় ৯ হাজার টাকা পান। বাংলাদেশ আনসারে চাকরির সুবাদে রোমান কিছু টাকা দেন সংসারে। তাতে ঘরভাড়া (ছয় হাজার), মায়ের চিকিৎসা খরচ চলে। বাবার টাকায় সংসারের বাজার হয়। কিন্তু এমন টানাটানি আর শিকলে বাঁধা ৫৪ বছরের এই জীবনে আজ অনেক আনন্দ।
দুই বছর আগে বাড়িতে একটা ঘর তৈরি করেছেন মাটির, কিন্তু টাকার অভাবে বেড়া দিতে পারেননি। ছাউনি দিয়েছেন গোলপাতা দিয়ে। বাড়িটা খুলনা জেলার কয়রা থানার বাদালী ইউনিয়নে বাদালী গ্রামে। ঘুঘরাকাতী বাজার থেকে পাঁচ-ছয় কিলোমিটার দূরে। যেখানে বর্ষায় রোমান যেতে পারেন না রাস্তা কাদা থিকথিকে থাকায়। সাইক্লোন শেল্টা্রের পাশে বাদালী প্রাথমিক স্কুলে পড়ার সময় বড় মাঠটায় খেলাধুলা করত ছোট্ট রোমান সানা। সানা নামটা বংশ পরম্পরায় পাওয়া। রোমানের দাদা মৃত সদর উদ্দিন সানা, দাদার বাবা মৃত আনসার উদ্দিন সানা।
চলবে---
২৪ বছর বয়সেই সেটি করেছেন রোমান। তাই আজ গফুর সানার আকাশে সুখপাখির আনাগোনা। কষ্ট আর অনটনের স্মৃতিটা তাঁকে এখন বরং আনন্দ দেয়। ‘অফিসে গেলে লোকজন বলে, মিষ্টি কই?’ গফুর সানার মুখে কথায় বেশ শোনায়। অনেক বছর ধরে মাছ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান খুলনা রাজু ফিশ ট্রেডার্সে চাকুরে গফুর সানা আজ তৃপ্ত। মাছ ভালো কি না, এসব তদারকির কাজটা তাঁকে করতে হয় বেলো তিনটা থেকে ভোর পর্যন্ত। তিন হাজার টাকায় শুরু। এখন বেতন সাকল্যে ছয় হাজার। এক-দেড় হাজার টাকায় যাতায়াত খরচ পান। ‘তবে দুই হাজার টাকা তো আমার পান খাতিই চলি যায়। আর কোনো কিছু খাই না।’ গফুর সানা হেসে বলেন। বড় ছেলের চাকরিও খুলনায় একটা মাছ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে। ভাতাসহ তিনি প্রায় ৯ হাজার টাকা পান। বাংলাদেশ আনসারে চাকরির সুবাদে রোমান কিছু টাকা দেন সংসারে। তাতে ঘরভাড়া (ছয় হাজার), মায়ের চিকিৎসা খরচ চলে। বাবার টাকায় সংসারের বাজার হয়। কিন্তু এমন টানাটানি আর শিকলে বাঁধা ৫৪ বছরের এই জীবনে আজ অনেক আনন্দ।
দুই বছর আগে বাড়িতে একটা ঘর তৈরি করেছেন মাটির, কিন্তু টাকার অভাবে বেড়া দিতে পারেননি। ছাউনি দিয়েছেন গোলপাতা দিয়ে। বাড়িটা খুলনা জেলার কয়রা থানার বাদালী ইউনিয়নে বাদালী গ্রামে। ঘুঘরাকাতী বাজার থেকে পাঁচ-ছয় কিলোমিটার দূরে। যেখানে বর্ষায় রোমান যেতে পারেন না রাস্তা কাদা থিকথিকে থাকায়। সাইক্লোন শেল্টা্রের পাশে বাদালী প্রাথমিক স্কুলে পড়ার সময় বড় মাঠটায় খেলাধুলা করত ছোট্ট রোমান সানা। সানা নামটা বংশ পরম্পরায় পাওয়া। রোমানের দাদা মৃত সদর উদ্দিন সানা, দাদার বাবা মৃত আনসার উদ্দিন সানা।
চলবে---
saving score / loading statistics ...