Text Practice Mode
ঝড়েও টলেনি রোমানের নিশানা-১
created Sep 21st 2019, 11:17 by polas
3
288 words
13 completed
0
Rating visible after 3 or more votes
00:00
বাড়ির বসার ঘরটায় টেবিলের ওপর সারি সারি পত্রিকার কাটিং। আগের দুদিন এই পরিবারেরে ছোট ছেলেকে নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন বেরিয়েছে সব জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায়। প্রাণ খুলে সেসব দেখে আনন্দে আত্মহারা আবদুল গফুর সানা ও বিউটি পারভীন। জীবনের দুর্গম পথ পেরিয়ে তাঁদের সব কষ্ট আজ অনেকটা সফল। মনের দুঃখ উড়ে গেছে বাষ্প হয়ে।
রোমান সানার মতো সন্তান থাকলে এমনই তো হওয়ার কথা। মা-বাবার জীবনে সুখের ফুল ফুটবেই। খুলনা শহরের তালতলায় ভাড়া করা ছোট্ট বাসায় গিয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর সেই ফুলের সুবাসই যেন মিলল। মনে হলো, আজ আর তাঁর জীবনের নানা জটিল অঙ্কের জালে বন্দী নন। জীবনকে দেখছেন নতুন আয়নায়।
সুযোগটা করে দিয়েছেন তাঁদেরই কৃতী ছেলে রোমান সানা। যাঁকে তাঁরা ডাকেন সুজন নাম। দেশের সেরা আর্চারের এ পর্যন্ত আটটি আন্তর্জাতিক সোনাজয় পরিবারের দুঃখ ঘুচিয়েছে অনেকটা। শুরুটা গত ১৩ জুন হল্যান্ডে বিশ্ব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে রিকার্ভ ইভেন্টে ব্যক্তিগত ব্রোঞ্জজয়ের মধ্য দিয়ে। গলফার সিদ্দিকুর রহমানের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে অলিম্পিক গেমসে খেলার যোগ্যতা মান অর্জন করেছেন। খেলবেন ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে। সর্বশেষ ১৫ সেপ্টেম্বর ফিলিপাইনে এশিয়ান র্যা ঙ্কিং আর্চারিতে রিকার্ভ ইভেন্টের ফাইনালে চীনের লি শি ঝেনঝিকে ৭-৩ ব্যবধানে হারিয়ে তাঁর সোনাজয় দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এখন তুমুল আলোচিত। দেশের রুগ্ণ ক্রীড়াঙ্গনে এটিকে ব্যক্তিগত সেরা সাফল্য বলছেন অনেকে।
খেলার জগতে নিজের শরীর আর মনকে সুশাসনে রেখে রোমান এগিয়েছেন নিজের যোগ্যতায়। তবে পরিবারের কর্তা গফুর সানার জীবনের গল্পটা সংগ্রাম মুখর।
২০০৭ সালে খুলনা অঞ্চলে ছোবল হানা ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে অজানা ঠিকানার উদ্দেশে বাড়ি ছাড়ে সানা পরিবার। গফুর সানা বলতে থাকেন, ’সেই ঝড়ে আমি সব হারায়ে ফেলি। আমার মাটির ঘরসহ সব ভেঙে গেলে বাড়ির সামনে চাচাদের ঘরে আশ্রয় নিলাম। সাত কি আট মাস পর তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে আমরা শূন্য হাতে শহরে চলে আসি। গ্রামে তখন রোজগার ছিল না। আমি বাস্তুহার। ১৫০ টাকায় গোলপাতার ছোট্ট একটা বাসা নিই। ২৫ টাকা দিয়ে একটা চাটাই কিনি। ১৫০ টাকায় একটা চৌকি।’
চলবে---
রোমান সানার মতো সন্তান থাকলে এমনই তো হওয়ার কথা। মা-বাবার জীবনে সুখের ফুল ফুটবেই। খুলনা শহরের তালতলায় ভাড়া করা ছোট্ট বাসায় গিয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর সেই ফুলের সুবাসই যেন মিলল। মনে হলো, আজ আর তাঁর জীবনের নানা জটিল অঙ্কের জালে বন্দী নন। জীবনকে দেখছেন নতুন আয়নায়।
সুযোগটা করে দিয়েছেন তাঁদেরই কৃতী ছেলে রোমান সানা। যাঁকে তাঁরা ডাকেন সুজন নাম। দেশের সেরা আর্চারের এ পর্যন্ত আটটি আন্তর্জাতিক সোনাজয় পরিবারের দুঃখ ঘুচিয়েছে অনেকটা। শুরুটা গত ১৩ জুন হল্যান্ডে বিশ্ব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে রিকার্ভ ইভেন্টে ব্যক্তিগত ব্রোঞ্জজয়ের মধ্য দিয়ে। গলফার সিদ্দিকুর রহমানের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে অলিম্পিক গেমসে খেলার যোগ্যতা মান অর্জন করেছেন। খেলবেন ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে। সর্বশেষ ১৫ সেপ্টেম্বর ফিলিপাইনে এশিয়ান র্যা ঙ্কিং আর্চারিতে রিকার্ভ ইভেন্টের ফাইনালে চীনের লি শি ঝেনঝিকে ৭-৩ ব্যবধানে হারিয়ে তাঁর সোনাজয় দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এখন তুমুল আলোচিত। দেশের রুগ্ণ ক্রীড়াঙ্গনে এটিকে ব্যক্তিগত সেরা সাফল্য বলছেন অনেকে।
খেলার জগতে নিজের শরীর আর মনকে সুশাসনে রেখে রোমান এগিয়েছেন নিজের যোগ্যতায়। তবে পরিবারের কর্তা গফুর সানার জীবনের গল্পটা সংগ্রাম মুখর।
২০০৭ সালে খুলনা অঞ্চলে ছোবল হানা ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে অজানা ঠিকানার উদ্দেশে বাড়ি ছাড়ে সানা পরিবার। গফুর সানা বলতে থাকেন, ’সেই ঝড়ে আমি সব হারায়ে ফেলি। আমার মাটির ঘরসহ সব ভেঙে গেলে বাড়ির সামনে চাচাদের ঘরে আশ্রয় নিলাম। সাত কি আট মাস পর তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে আমরা শূন্য হাতে শহরে চলে আসি। গ্রামে তখন রোজগার ছিল না। আমি বাস্তুহার। ১৫০ টাকায় গোলপাতার ছোট্ট একটা বাসা নিই। ২৫ টাকা দিয়ে একটা চাটাই কিনি। ১৫০ টাকায় একটা চৌকি।’
চলবে---
saving score / loading statistics ...