Text Practice Mode
আমাদের দুলাভাই
created Mar 5th 2023, 03:28 by Jubaer Rahman Babu
1
287 words
0 completed
0
Rating visible after 3 or more votes
দুলাভাই আমাদের বাড়িতে ঘর জামাই থাকেন এক যুগ ধরে। নিজেকে বকড় চালাক ভাবেন তিনি। এজন্য বুবুর জঙ্গে প্রায়ই তার বিবাদ হরে সেটা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। স্বামীর প্রতি বুবুর অভিযোগ—দুলাভাইয়েরর আধা চালাকির তুলনাায় চাপাবাজি অনেক বেশি। আর চাপাবাজি ধরনটাও অভাবনীয়। অবিশ্বস্য চাপাবাজিতে তার তুলনা কেবল তিনি নিজেই। একবার নাকি তিনি চট্টগ্রামে বাজারে গিয়ে অভিজাত এক হোটেল ভাড়া করেছেন। তিনদিনের হোটেল ভাড়া এসছে ত্রিশ হাজার টাকা। বিল পরিশোধের আগেরদিন টের পেলেন তার পকেটে মানিব্যাগটি গায়েব। কোথায় হারিয়েছে বুঝতে পারছেন না। কীভাবে হোটেলের বিল পরিশোধ করবেন, সে চিন্তায় অস্থির হয়ে বসে আছেন সাগড়পাড়ে। এমন সময় তার পায়ের কাছে বিশাল এক ঝিনুক ভেসে এলো। সেই ঝিনুকের ভেতর পেলেন বড় একটি মুক্তা। সেই মুক্তা বিত্রি করলেন পঞ্চাশ হাজার টাকা। তারপর হোটেলের বিল দিয়ে বাড়ি ফিললেন। দূলাভাইয়ের নিজ মুখেই এই গল্প শুনে আমরা মুখ টিপে হাসি। আমাদের হাসি তিনি টের পান না। ছাত্রজীবনে নাকি দুলাভাই এক সন্ধা্যায় গঞ্জের হাট থেকে একজোড়া ইলিশ নিয়ে বাড়ি ফিলছিলেন। বটতলার মোড়ে আসতেই তিনটি গেছে ভূতের পাল্লায় পড়লেন। ভূতগুলো দুলাভাইয়ের হাতের ইলিশ চায়। নয়তো দুলাভাইয়ের রক্ষা নেই। কিন্তু দুলাভাই নাছোড়বান্দা, কোনোভাবেই জ্ঞান হারাবেই। তুমি কি আমার মতো নির্ভীক!’ সেই বির্ভিীক মানুষটাকে একদিন আমি পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিলাম। যাচাই করার ইচ্ছে হলো তার সাহসের দাপট। একদিন দুলাভাই সন্ধ্যার পর কী যেন কিনতে বাজারে যাওয়ায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেটা দেখে আমি আগে ভাগে দাদির সাদা কাপড়টি ভেতর থেকে লাফিয়ে নেমে এলাম মাঝরাস্তায়। ভূতের মতো বিকৃত গলায় বললাম, ‘কী আছে বের করা। আমি এই গ্রামের ভূতের সর্দার!’
দুলাভাই চিৎকার দিতে চেয়েও দিলেন না। ভীতু গলায় বললেন, ‘সব দিয়ে দেব। আমাকে মেরে ফেলবেন না তো!’
বিকৃত গলায় বললাম, ‘এত কথা বলিস না। কী কী আছে সব বাইর করা।’ দুলাভাই মানিব্যাগ এগিয়ে দিরেন আমার দিকে। আমি মুখ টিপে হাসি আর সঙ্গে যা যা আছে সব দিয়ে দেওয়ার হুকুম জারি করি। বেচারা
00:00
দুলাভাই আমাদের বাড়িতে ঘর জামাই থাকেন এক যুগ ধরে। নিজেকে বকড় চালাক ভাবেন তিনি। এজন্য বুবুর জঙ্গে প্রায়ই তার বিবাদ হরে সেটা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। স্বামীর প্রতি বুবুর অভিযোগ—দুলাভাইয়েরর আধা চালাকির তুলনাায় চাপাবাজি অনেক বেশি। আর চাপাবাজি ধরনটাও অভাবনীয়। অবিশ্বস্য চাপাবাজিতে তার তুলনা কেবল তিনি নিজেই। একবার নাকি তিনি চট্টগ্রামে বাজারে গিয়ে অভিজাত এক হোটেল ভাড়া করেছেন। তিনদিনের হোটেল ভাড়া এসছে ত্রিশ হাজার টাকা। বিল পরিশোধের আগেরদিন টের পেলেন তার পকেটে মানিব্যাগটি গায়েব। কোথায় হারিয়েছে বুঝতে পারছেন না। কীভাবে হোটেলের বিল পরিশোধ করবেন, সে চিন্তায় অস্থির হয়ে বসে আছেন সাগড়পাড়ে। এমন সময় তার পায়ের কাছে বিশাল এক ঝিনুক ভেসে এলো। সেই ঝিনুকের ভেতর পেলেন বড় একটি মুক্তা। সেই মুক্তা বিত্রি করলেন পঞ্চাশ হাজার টাকা। তারপর হোটেলের বিল দিয়ে বাড়ি ফিললেন। দূলাভাইয়ের নিজ মুখেই এই গল্প শুনে আমরা মুখ টিপে হাসি। আমাদের হাসি তিনি টের পান না। ছাত্রজীবনে নাকি দুলাভাই এক সন্ধা্যায় গঞ্জের হাট থেকে একজোড়া ইলিশ নিয়ে বাড়ি ফিলছিলেন। বটতলার মোড়ে আসতেই তিনটি গেছে ভূতের পাল্লায় পড়লেন। ভূতগুলো দুলাভাইয়ের হাতের ইলিশ চায়। নয়তো দুলাভাইয়ের রক্ষা নেই। কিন্তু দুলাভাই নাছোড়বান্দা, কোনোভাবেই জ্ঞান হারাবেই। তুমি কি আমার মতো নির্ভীক!’ সেই বির্ভিীক মানুষটাকে একদিন আমি পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিলাম। যাচাই করার ইচ্ছে হলো তার সাহসের দাপট। একদিন দুলাভাই সন্ধ্যার পর কী যেন কিনতে বাজারে যাওয়ায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেটা দেখে আমি আগে ভাগে দাদির সাদা কাপড়টি ভেতর থেকে লাফিয়ে নেমে এলাম মাঝরাস্তায়। ভূতের মতো বিকৃত গলায় বললাম, ‘কী আছে বের করা। আমি এই গ্রামের ভূতের সর্দার!’
দুলাভাই চিৎকার দিতে চেয়েও দিলেন না। ভীতু গলায় বললেন, ‘সব দিয়ে দেব। আমাকে মেরে ফেলবেন না তো!’
বিকৃত গলায় বললাম, ‘এত কথা বলিস না। কী কী আছে সব বাইর করা।’ দুলাভাই মানিব্যাগ এগিয়ে দিরেন আমার দিকে। আমি মুখ টিপে হাসি আর সঙ্গে যা যা আছে সব দিয়ে দেওয়ার হুকুম জারি করি। বেচারা
saving score / loading statistics ...